ঈদুল আজহার ছুটি এক দিন বাড়ানোর সুপারিশ

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটি এক দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ঈদের সময় মানুষ যাতে সহজে গ্রামে যেতে পারে সেজন্য আমরা ২৭ জুন থেকে ছুটির সুপারিশ করেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রী বলেন, সামনে আমাদের কোরবানি ঈদ। এ সময় আইনশৃঙ্খলা যাতে ইয়ে (বিশৃঙ্খলা) না হয়। বাঙালিরা সবসময় ঘরমুখো। আমরা সবাই মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে চাই। এ কারণে অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়েও (বাড়ি যান অনেকেই), বহু লোক মারা যায় কিন্তু। গত ঈদে আলহামদুলিল্লাহ ভ্রমণটা যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্য ছিল। অন্য বছরের মত এত ইয়ে (দুর্ঘটনা) হয়নি।

এ বছরও যাতে ঈদযাত্রা স্বাচ্ছন্দ্য হয় সেজন্য অনেকে মত প্রকাশ করেছেন ঈদের ছুটি ২৮ জুন থেকে যেটা হবে তা যদি ২৭ তারিখ থেকে দেওয়া যায়। সেটা (ছুটি অনুমোদন) মন্ত্রিসভা করতে পারে। আমরা মন্ত্রিসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। যদি মন্ত্রিসভা ২৭ জুন থেকে ছুটি অনুমোদন করে তাহলে মানুষের যাওয়া- আসার চাপ কম পড়বে। একটু নিরাপদে যেতে পারবে। ২৯ জুন আমরা ঈদ ধরে নিচ্ছি, বলেন আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সুপারিশ করবো। এটা যদি সরকার বিচার-বিবেচনা করে যে দুই-একদিন যদি বাড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে হয়তো যাতায়াতে চাপ একটু কম পড়বে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রতি বছর একটা সমস্যা হয়, অনেক জায়গায় কোরবানির পশুর হাট রাস্তার ওপর থাকে। এবার এটা কঠিনভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। প্রশাসনকে বলা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন যেন অত্যন্ত সচেতন থাকে। কোনও অবস্থায় গরুর হাট, কোরবানির হাট রাস্তার ওপর বসার অনুমতি তো দেবেই না, বসতে যাতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেতন থাকবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে গরুর হাট করার মতো খালি জায়গা নেই। তাই এখানকার জায়গাটা একটু ভিন্ন। তবে সেটাও আমরা ঢাকার কমিশনার, পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ করেছি, কোথায় কোথায় সিটি করপোরেশন (হাটের অনুমতি) দিয়েছে, সেখানে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা রেখেই যেন সেগুলো হয়। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে হাটও বসলো, আবার মানুষের চলাচলের সমস্যা হবে না।