অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ সহায়তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। এ জন্য আর্মি অ্যাভিয়েশনের হেলিকপ্টার, নৌবাহিনীর ১৮টি যুদ্ধজাহাজ ও বিমান বাহিনীর বিভিন্ন বিমান ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৬ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিমান বাহিনীর সদর দফতরের তত্ত্বাবধানে ‘বিএএফ সেন্ট্রাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কন্ট্রোল রুম’ খোলার পাশাপাশি বিভিন্ন ঘাঁটিতে ২৪ ঘণ্টা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য অপস রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া বিমান বাহিনীর রেকি মিশন, সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অপারেশন িএবং মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য বিভিন্ন ধরনের বিমান ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। তবে বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই ইয়াসের। ফলে ঘূর্ণি বাতাসে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও কম। তবে ঘূর্ণিঝড় ও পূর্ণিমার কারণে জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল কিছুটা প্লাবিত হতে পারে।
বুধবার (২৬ মে) সকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক কাওছার পারভীন।
এর আগে ইয়াস সম্পর্কিত ১৭ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের উত্তর উত্তর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের অদূরে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি আজ সকাল ৯টায় (২৬ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ইয়াস আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (২৬ মে) দুপুর ১২টা নাগাদ ডামরার উত্তর এবং বালেশ্বরের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।