ইয়াসির রাব্বি পারলেন না ‘খলনায়ক থেকে নায়ক’ হতে

:
: ৫ years ago

তার সামনে সুযোগ ছিল ব্যর্থতা পুষিয়ে দেবার। আজকের ম্যাচে তিন তিনটি ক্যাচ ফেলে প্রথম সেশনে ‘খলনায়ক ’ বনে গিয়েছিলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। যার সেঞ্চুরিতে পাকিস্তান পেয়েছে ৩০১ রানের বড় পুঁজি, সেই রোহাইল নাজির ২৩ রানে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে।

বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামের বলে ওঠা সেই ক্যাচ প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে ফেলে দেন ইয়াসির আলী রাব্বি। সেই জীবন পাওয়া রোহাইল নাজির পরে ঝড়ের গতিতে ১১১ বলে ১১৩ রানের বড় ইনিংস খেলে পাকিস্তান ইমার্জিং দলকে এগিয়ে দেন অনেকটা পথ।

এরপর আরও দুটি সহজ ক্যাচ বেরিয়ে যায় ইয়াসির আলী রাব্বির হাত ফস্কে। মনে হচ্ছিল, ফিল্ডিংয়ের ব্যর্থতা ব্যাট হাতে পুুষিয়ে দেবেন চট্টগ্রামের এ মিডল অর্ডার। খেলছিলেন মোটামুটি আস্থা ও আত্মবিশ্বাসে।

কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন। পাকিস্তানের মিডিয়াম পেসার আমাদ বাটের বলে লেগবিফোর উইকেটে ফাঁদে জড়িয়ে সাজঘরে। স্লোয়ার ডেলিভারি ছিল। ইয়াসির আলী রাব্বি সেই উইকেট সোজা স্লোয়ার ডেলিভারিকে ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যাটে আনতে না পেরে আউট হয়ে যান। ৩১ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলে তিনি ফেরার সাথেই ভাঙে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে গড়া ৫১ রানের পার্টনারশিপ।

দলে পজিশন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। একটু ভারি শরীরের ইয়াসির আলী রাব্বির ফিটনেস আর ফিল্ডিং দুর্বলতার কথা শোনা যায় অনেকের মুখেই। বলা হয়ে থাকে, ফিটনেসে ঘাটতি আর ফিল্ডিং দুর্বলতার কারণেই তার জাতীয় দলে খেলা হয়ে ওঠেনি।

বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়েও কোন ম্যাচ সুযোগ পাননি। মনে হচ্ছিল, আজ শনিবার প্রাণ ফ্রুটো ইমার্জিং কাপের ফাইনালের প্রথম সেশনে ফিল্ডিং ও ক্যাচিং ব্যর্থতা ঘুচিয়ে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠবেন ইয়াসির রাব্বি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হতাশই করলেন এ মিডল অর্ডার।

এর আগে ফিরে গেছেন ওপেনার নাইম শেখ। ভারতের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা ফরিদপুরের এ তরুণ প্রাণ ফ্রুটো ইমার্জিং এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে সেই যে হংকংয়ের সাথে বল পিছু রান তুলে হাফসেঞ্চুরি (৫২ বলে ৫২) করেছিলেন, তারপর আর খবর নেই।

আজও (শনিবার) কিছু সাহসী শট খেলে শুরুতে আশা জাগালেও মাত্র ১৬ রানে ফিরে গেছেন নাইম। ১৭ বলের ওই ইনিংসে অতিমাত্রায় চার ও ছক্কা হাঁকানোর ইচ্ছেটাই কাল হয় তার। দুই বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ১৬ রান করা নাইম ফিরে যান পাকিস্তানের সবচেয়ে দ্রুত গতির বোলার মোহাম্মদ হাসনাইনের একটু জোরের ওপর আসা শর্ট বলে।

খাটো লেন্থ থেকে উঠে আসা ওই বলে পুল খেলতে গিয়ে টাইমিং করতে পারেননি নাইম। বল তার প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত এসে লাগে ব্যাটের ওপরের দিকে। সোজা ক্যাচ চলে যায় মিড অনে দাঁড়ানো ইমরান রফিকের হাতে।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের ২০.৩ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১১৭ রান। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত আছেন ৪৭ রানে। তার সঙ্গে ১৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।