ইসলামের প্রচারে নানা উদ্যোগ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

:
: ৮ মাস আগে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আলেম-ওলামাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি এবং তাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ, পবিত্র কোরআন শরিফ ডিজিটাইজেশন, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ, হজ ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণ এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ ইসলামের প্রচার-প্রসারে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি।

 

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় ইমাম সম্মেলন আয়োজন উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ উপলক্ষে আলেম-ওলামাসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ৩ বছর ৭ মাস ৩ দিনের স্বল্প সময়ের শাসনামলে ইসলাম ও মুসলমানদের কল্যাণে অসংখ্য কাজ করেছেন, যার সুফল জাতি আজ ভোগ করছে। জাতির পিতা মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ করেন। তিনি টঙ্গিতে বিশ্ব ইজতেমা, কাকরাইল মসজিদ সম্প্রসারণ ও জামিয়া মাদানিয়া দারুল উলুম যাত্রাবাড়ী কওমী মাদরাসার জন্য জমি বরাদ্দ করেন।

 

‘তিনি বেতার ও টেলিভিশনে প্রতিদিনের অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কোরআন তেলাওয়াতের ব্যবস্থা করেন। তিনি আইন করে মদ, জুয়া, হাউজি ও অসামাজিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করেন। স্বল্প ব্যয়ে সমুদ্রপথে হজ করতে হজযাত্রীদের জন্য হিজবুল বাহার নামের একটি জাহাজ কিনেন। এসবই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব করেছেন ইসলামের সুমহান মর্যাদা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে।’

বাংলাদেশে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা ও মর্মবাণী প্রচারের উদ্দেশ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের আলেম-ওলামাসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।

 

আওয়ামী লীগ সরকার গত প্রায় ১৫ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সুমহান শিক্ষা ও আদর্শের পথ ধরেই ইসলামের খেদমতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, মসজিদ পাঠাগার ও দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান প্রদান এবং ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছি।

‘আমি আশা করি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ইমাম ও খতিবদের ইসলামি বুনিয়াদী শিক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিসহ বিভিন্ন সামাজিক জনসচেতনতামূলক বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’ জাতীয় ইমাম সম্মেলনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।