ইসলামিক সংস্কৃতির অনন্য নিদর্শন জামালপুরের মালঞ্চ মসজিদ

:
: ৩ years ago

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে রয়েছে মুসলমানদের বহু ধর্মীয় স্থাপনা। এসব স্থাপনার মধ্যে অন্যতম মসজিদ। পারস্য (বর্তমান ইরান) অঞ্চলের পাশাপাশি স্থাপনাগুলো গড়ে উঠেছিল ইউরোপ থেকে দক্ষিণ এশিয়া পর্যন্ত। অগণিত মুসলিম মনীষীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বিশ্বজুড়ে আজ ইসলামের মর্মবাণী পৌঁছে গেছে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। ধর্মীয় গুরুত্বের পাশাপাশি স্থাপনাগুলো সভ্যতা ও ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিশ্বনন্দিত।

জামালপুর জেলা সদর থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরে মেলান্দহ উপজেলার মালঞ্চ এলাকায় খোঁজ মেলে এমন এক আকর্ষণীয় ও ব্যতিক্রমধর্মী মসজিদ। জানা যায়, ১৯৪০ সালে আব্দুল গফুর মণ্ডল নামের ধর্মপ্রাণ এক মুসলিম সুরকি পাথর দিয়ে তিন গম্বুজবিশিষ্ট ছোট একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৯৮৭ সালে গম্বুজ তিনটি আরও বর্ধিত করে সাত তলায় রূপান্তরিত করেন প্রতিষ্ঠাতা গফুর মণ্ডলের নাতি দেশের স্বনামধন্য শিল্পপতি আলহাজ হাসান মাহমুদ রাজা।

জুমার দিন প্রায় ৭০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। প্রতি ওয়াক্তে ২০০ থেকে ২৫০ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। মসজিদের প্রথম তলায় ১৫ কাতার ও দ্বিতীয় তলা থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত ১০টি করে কাতার রয়েছে। প্রতি কাতারে ২২ থেকে ২৫ জন করে নামাজ আদায় করতে পারেন।

মসজিদটি আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন। এ মসজিদ ঘিরে একটি এতিমখানা, একটি নুরানি মাদরাসা ও একটি হাফেজিয়া মাদরাসা পরিচালিত হচ্ছে। পাশেই রয়েছে দাতব্য চিকিৎসালয় ও কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদরাসা।

আব্দুল মজিদ ও আফছার মণ্ডলসহ স্থানীয় কয়েকজন জানান, আলহাজ আব্দুল গফুর মণ্ডল বৃহত্তর এই এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলিম ও জনহিতৈষী ব্যক্তি ছিলেন। তার নাতি আলহাজ হাসান মাহমুদ রাজাও দানশীল ব্যক্তি। সম্পূর্ণ নিজ খরচে তিনি এই মসজিদ ও এর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলেন। আজ পর্যন্ত তিনি এর ব্যয়ভার বহন করে আসছেন।

মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা এএফএ নুরুল ইসলাম বলেন, মসজিদটি শুধু ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য ইবাদতের স্থানই নয়, ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও।