অধিকৃত ফিলিস্তিনী ভূখন্ডে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধ, গাজা উপত্যকায় অবরোধ তুলে নেওয়াসহ সব ধরনের ইসরায়েলি আগ্রাসন ও সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদকে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার “প্যালেস্টাইন প্রশ্নসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি” আলোকে এক উন্মুক্ত বিতর্কে অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মাসুদ। নিরাপত্তা পরিষদের চলতি মাসের প্রেসিডেন্ট কাজাখিস্তানের সভাপতিত্বে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ফিলিস্তিন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থানের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, “পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে দুই-রাষ্ট্র সমাধান কাঠামোর আওতায় স্থায়ী, সুসংহত, স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনী জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার রক্ষার ন্যায় সঙ্গত সংগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার সবসময়ই অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাবে”।
আনরোয়া’র (UNRWA) বাজেট হ্রাসের কারণে বিভিন্ন দেশে আশ্রিত ফিলিস্তিনী শরণার্থীরা ভয়াবহ পরিণতির মধ্যে পড়তে পারে বলে রাষ্ট্রদূত মাসুদ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমরা আনরোয়ার (UNRWA) জন্য পর্যাপ্ত ও টেকসই তহবিল নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তার পুনরুল্লেখ করছি যাতে করে ফিলিস্তিনী শরণার্থীদের জীবনধারণ ব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত সহজ হয়”।
দশকের পর দশক ধরে চলমান আগ্রাসী অপশক্তির জুলুম-নির্যাতন থেকে ফিলিস্তিনী জনগণকে রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সুরক্ষা নিশ্চিতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে রাষ্ট্রদূত মাসুদ জোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে ফিলিস্তিনী সমস্যার সমাধানে আঞ্চলিক ও দ্বিপাক্ষিকভাবে বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক উদ্যোগ সূচিত হবে”।
স্থায়ী প্রতিনিধি আশা প্রকাশ করেন, ফিলিস্তিনসহ সারাবিশ্বে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টিকারী আগ্রাসন ও সহিংসতার ন্যায়সঙ্গত, স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদ একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।