ইরানে গত বৃহস্পতিবার থেকে চলা এই বিক্ষোভ ও সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ২১ জন নিহত হয়েছে। দেশটিতে চলমান এই অস্থিরতার জন্য মঙ্গলবার ‘শত্রুদের’ দায়ী করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ্ আলি খামেনি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপারে এই প্রথম নিরবতা ভাঙলেন তিনি।
এদিকে এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ইরানের ওপর অব্যাহত চাপ তৈরি করছে। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ইরান সরকারের জন্য এটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। খবর এএফপি’র।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘শত্রুরা ইসলামিক সরকারকে সমস্যায় ফেলার জন্য একযোগে তাদের অর্থ, অস্ত্র, নীতি ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শত্রুরা সবসময়ই ইরানের ক্ষতি করার সুযোগ খুঁজতে থাকে এবং কোনো ফাঁক পেলেই তেহরানের ক্ষতি করে।’
আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অব্যাহতভাবে তেহরানের সমালোচনা করেই যাচ্ছেন। ‘নিষ্ঠুর ও দুর্নীতিগ্রস্ত’ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বলেন, ইরানি জনগণ খাদ্য সংকট ও বড় ধরনের মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়াও দেশটিতে মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালেই বলেন, ইরানের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের জরুরি বৈঠকের ডাক দেবে।