পাল্টা আঘাতের জন্য ইরানের ৫২টি লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। কোন আমেরিকান ব্যক্তি বা সম্পত্তির ওপর আঘাত এলে ওইসব লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় একের পর এক টুইটার বার্তায় ইরানকে এমন হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর সিএনএন’র
ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ড কোরের জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র বিরোধিতা করেছে ডেমোক্রেট শিবির। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইরান সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেবে, ডেমোক্র্যাটদের এমন আশঙ্কার পর ট্রাম্প শনিবার একের পর এক টুইট বার্তায় এমন হুঁশিয়ারি দেন।
সোলাইমানিকে সন্ত্রাসী নেতা উল্লেখ করে টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘অসংখ্য আমেরিকানকে হত্যা এবং আহত করার জন্য দায়ী এমন সন্ত্রাসী নেতাকে হত্যার জন্য ইরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে আমেরিকার সম্পত্তিকে টার্গেট করে খুব উঁচু স্বরে কথা বলছে…’।
বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে বিক্ষোভকারীদের হামলার জন্য সোলাইমানিকে দোষারোপ করেন ট্রাম্প। তার দাবি সোলাইমানি এমন আরও আমেরিকান সম্পত্তিতে হামলার পরিকল্পনা করছিল। ইরানকে সতর্ক বার্তা দিতেই দেশটির কুদস প্রধানকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
অপর এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, ‘আমরা ইরানের খু্বই গুরুত্বপূর্ণ ৫২টি লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করেছি, ইরান যদি আমেরিকার কোন একজন নাগরিক কিংবা সম্পত্তির উপর আক্রমণ করে তবে আমরা খুব দ্রুত এর কড়া জবাব দেব।’
গত শুক্রবার ইরাকে সুলাইমানিকে হত্যার পর থেকে ইরান প্রতিশোধের হুঙ্কার দিয়ে আসছে। এসব হুঙ্কারে দমে না গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টও পাল্টা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে আসছেন। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। নিজ দলের নেতাদের পাশে পেলেও ডেমোক্র্যাটদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ট্রাম্পকে।
কংগ্রেসের সঙ্গে কথা না বলে এমন হামলা চালানোয় তোপের মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। ইরানের সঙ্গে বৈরি সম্পর্কের জন্য ট্রাম্পকে কাঠগড়ায় তুলছেন, নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বা সংঘাতের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। তবে, ট্রাম্প বলছেন, যুদ্ধ থামাতেই তিনি সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন।