আততায়ীর বোমা-গুলিতে নিহত ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী ও দেশটির পরমাণু কর্মসূচির স্থপতি মোহসেন ফাখরিজাদেহকে সোমবার রাজধানী তেহরানের ইমামজাদা সালেহ মাজার প্রাঙ্গনে দাফন করা হয়েছে।
করোনায় ভীড় এড়াতে দাফন অনুষ্ঠানে কেবল তার পরিবারের সদস্য এবং সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারেরা অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এর আগে তার কর্মস্থল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ফাখরিজাদেহর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সহকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দামন্ত্রী ছাড়াও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডারেরা।
এ ছাড়া শহীদ ফাখরিজাদেহ’র মরদেহ মাশহাদে ইমাম রেজা (আ.), কোমে হজরত মাসুমা (আ.) মাজার এবং তেহরানে ইমাম খামেনির (র.) মাজারেও নিয়ে যাওয়া হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে পার্স টুডে।
কোমের হজরত মাসুমা’র (আ.) মাজার প্রাঙ্গনে মোহসেন ফাখরিজাদেহ’র জানাজার নামাজ পড়িয়েছেন ইরানের শীর্ষস্থানীয় আলেম আয়াতুল্লাহ হোসেইন নুরি হামেদানি।
ইরানের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী, আইআরজিসিরি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রধান ফাখরিজাদে গত শুক্রবার রাজধানী তেহরানে অদূরে এক সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান।
পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন থেকেই ফাখরিজাদেকে ইরানের গোপন পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির মূল ব্যক্তি বলে সন্দেহ করে এসেছে। কূটনৈতিকরা তাকে ‘ইরানের বোমার জনক’ আখ্যা দিয়েছিলেন।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি, প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ ছাড়াও শীর্ষ ধর্মীয় ও সামরিক নেতারা তাকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে এর বদলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন