হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইরানে। দেশটিতে আগামী ২৮ জুন নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ এই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের।
আহমাদিনেজাদ ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পরপর দুই মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এর আগে তিনি রাজধানী তেহরানের মেয়র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
শনিবার (২৫ মে) আহমাদিনেজাদের সমর্থক পরিচালিত দোলাত বাহার টেলিগ্রাম চ্যানেলে আহমাদিনেজাদের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিও বার্তায় ভক্তদের উদ্দেশে আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘ইরানের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ভালো কিছু হবে। এ ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী।’
আহমাদিনেজাদ আরও বলেন, ‘দ্রুত সবকিছু পরিবর্তন হচ্ছে। শুধু ইরানে নয়, গোটা বিশ্বেই। আমি আশাবাদী যে আমরা শিগগির ভালো কিছু দেখতে পাব।’
এদিকে এ বিষয়ে ইরানের পার্লামেন্টে তাবরিজ অঞ্চলের প্রতিনিধি আহমাদ আলীরেজা বেইগি ইরানিয়ান লেবার নিউজ এজেন্সিকে বলেন, ‘মাহমুদ আহমাদিনেজাদ প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তিনি জিতবেন।’
তিনি আহমাদিনেজাদকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেন। জানান, আহমাদিনেজাদকে ২০১৭ সালে এবং ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেয়া হয়েছিল। বাধা দিয়েছিল গার্ডিয়ান কাউন্সিল যেটি নিয়ন্ত্রণ করেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
এ বিষয়ে বেগি বলেন, ‘আহমাদিনেজাদকে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে, গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতার অনুমোদন দেবে। কারণ, তিনি যদি প্রার্থী হন এবং এই প্রার্থিতাও যদি বাতিল হয়ে যায়, তবে এটি খুব বাজে পরিণতি নিয়ে আসবে।’
২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর পুরো সিস্টেমের কঠোর সমালোচক হয়ে উঠেছিলেন মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। এমনকি তিনি প্রকাশ্যে খামেনিরও সমালোচনা করেন। তবে গত দুই বছর অনেকটা নীরব ছিলেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ইরানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে অন্তত ২০ জনের নাম উঠে এসেছে।