ইরানের জবাব শুরু, এবার মার্কিন ওয়েবসাইট হ্যাক করে ট্রাম্পের বিকৃত ছবি পোস্ট

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জবাব দিতে শুরু করেছে ইরান।

ইরাকে মার্কিন দূতাবাস ও ঘাঁটিতে দফা দফায় হামলার পর এবার যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করে তাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বিকৃত ছবি ঝুলিয়ে দিয়েছেন ইরানি হ্যাকাররা।

শনিবার ফেডারেল ডিপোজিটরি লাইব্রেরি প্রোগ্রামের ওয়েবসাইট (fdlp.gov) হ্যাক করে সেখানে ট্রাম্পের রক্তাক্ত মুখের ছবি পোস্ট করা হয়। এতে দেখা যায়, কেউ একজন ট্রাম্পের মুখে সজোরে ঘুষি মারছেন। আর তাতে ট্রাম্পের মুখ থেকে রক্ত বের হচ্ছে।

তবে শনিবারই সাইটটি হ্যাকারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় এবং বর্তমানে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। খবর ডেইলি মেইল ও দ্য গার্ডিয়ানের।

সাইটটিতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির ছবিসহ ফারসি ও ইংরেজি ভাষায় লেখা একটি বক্তব্য পোস্ট করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘এই অঞ্চলে আমরা আমাদের বন্ধুদের পাশে দাঁড়ানো থেকে বিরত থাকব না: ফিলিস্তিন, ইয়েমেন ও বাহরাইনের নিপীড়িত জনগণ, সিরিয়া ও ইরাকের জনগণ ও সরকার, লেবানন ও ফিলিস্তিনের সত্যিকারের মুজাহিদীনদের প্রতিরোধ, তারা সবসময় আমাদের সহযোগিতা পাবে।’
হ্যাকাররা নিজেদেরকে ইরান সাইবার সিকিউরিটি গ্রুপ হ্যাকারসের সদস্য বলে পরিচয় দেন। সাইটটিতে দেওয়া ক্ষুদেবার্তায় বলা হয়, ‘এটি ইরানের সাইবার সক্ষমতার ছোট্ট উদাহরণ। আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার প্রকাশিত বইপুস্তক, তথ্যকণিকা বা অন্যান্য প্রকাশনা বিনামূল্যে নাগরিকদের সরবরাহ করে এফডিএলপি।

গত শুক্রবার ভোরে ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন রকেট হামলায় ইরানি শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়। পরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, ৬২ বছর বয়সী এই জেনারেল যে কোনো সময় মার্কিন কূটনীতিক ও নাগরিকদের ওপর মারাত্মক হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিলেন।

সম্প্রতি সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন বিমান হামলায় ২৫ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহতের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। নিহত হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের জানাজায় শরিক হয়ে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। সেখানে মার্কিন সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিক্ষোভকারীরা।

এর কয়েকদিন আগে ইরানের মদদপুষ্ট মিলিশিয়া গোষ্ঠী কাতায়েব হিজবুল্লাহ ইরাকের উত্তরাঞ্চলে মার্কিন এক ঠিকাদারকে হত্যা করে। মার্কিন ঠিকাদারকে হত্যার জবাবে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তাতে ২৫ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হন।