‘ইরানি জাতি নত হবার নয়’-মেজর জেনারেল হোসেন সালামি

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডবাহিনী বা আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেন সালামি বলেছেন, বিশ্বের কোনো শুক্তই ইরানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রাখে না।

তিনি বলেন, বিশ্ববাসীর উচিত ইরানের আশা আকাঙ্ক্ষাকে সম্মানের সঙ্গে মেনে নেয়া। গতকাল জনাব সালামি খুজিস্তান প্রদেশে এক সমাবেশে ওই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ইরানের ওপর কেউ নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দেয়ার শক্তি রাখে না।ইরানের ব্যাপারে শত্রুদের ভুল চিন্তা করা ঠিক হবে না। ইরানি জাতি প্রতিরোধের মহাশিক্ষক।চাপ,অবরোধ ইত্যাদি মোকাবেলায় ইরান ভীত নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ইরান স্বাধীনভাবে জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেখে শত্রুরা প্রচারণা ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধসহ হুমকির পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু বিগত চল্লিশ বছর ধরে ইরান আমেরিকাসহ বলদর্পি শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে বীরত্ব ও সাফল্যের সঙ্গে দাঁড়িয়েছে।

ইসলামি বিপ্লব বিশ্ববাসীর সামনে প্রতিরোধ, দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়ানো এবং ত্যাগের শিক্ষা তুলে ধরেছে।বিপ্লব প্রমাণ করেছে ইরানের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা সুসংহত ও দৃঢ়। বিপ্লবের বিরুদ্ধে শত্রুদের চল্লিশ বছরের ব্যর্থতা সে কথাই অর্থবহ করে তোলে।

কলম্বিয়ান রাজনীতি বিশ্লেষক কার্লোস সান্তা মারিয়া যেমনটি বলেছেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের দিক থেকে যেসব দেশ দৃঢ় এবং জাতীয় ঐক্য যেসব দেশে বর্তমান তারা কখনো মাথানত করবে না। ইরান এসব বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশ্বের স্বাধীনচেতা দেশগুলোর আদর্শে পরিণত হয়েছে বলে জেনারেল সালামি মন্তব্য করেন। ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিনীদের সকল শত্রুতা ও ষড়যন্ত্রের মূলে রয়েছে এই দৃঢ়চেতা মানসিকতা এবং শত্রুদের উপর্যুপরি ব্যর্থতা।

ইরাকের মাধ্যমে চাপিয়ে দেয়া আট বছরের যুদ্ধে ইরানি জাতির সর্বাত্মক প্রতিরোধের মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয়েছে কোনোরকম চাপ, অবরোধ, নিষেধাজ্ঞা কিংবা হুমকি ধমকিকে ইরান পরোয়া করে না। এই দৃঢ়তাই ইরানের মোকাবেলায় মার্কিন যুদ্ধবাজ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মাথা খারাপ করে দিয়েছে।

কেননা, ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করেই প্রকাশ্যে ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টি করেও ইরানকে নতজানু করতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়াও মার্কিন তথাকথিত অপ্রতিরোধ্য ড্রোন ‘গ্লোবাল-হক’ফেলে দিয়ে ইরান তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে মার্কিনীদের সামরিক শক্তির দর্প চূর্ণ করে দিয়ে তাদের প্রযুক্তিকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।

ইরান যে পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের বৃহৎ শক্তিতে পরিণত হয়েছে এবং ইরানের শক্তি যে দিন দিন বেড়েই চলেছে তা ভেবেও বলদর্পিরা এখন চিন্তিত।