নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে সাতদিনের রিমান্ডে চাইবে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ধানমন্ডি থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলি মিয়া।
তিনি জানান, সাজাপ্রাপ্ত ইরফান সেলিম ও জাহিদকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় পুনগ্রেফতার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আজ আদালতে আবেদন করা হবে। এছাড়া এই মামলায় গ্রেফতার ইরফান সেলিমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবি সিদ্দিকী দিপুর সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
ওসি আরও বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ২-৩ আসামিকে চিহ্নিত করা হবে।
গত রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও সোমবার ভোরে ইরফানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এ মামলায় সোমবার দুপুরে ইরফানকে গ্রেফতার করে র্যাব। এছাড়া পুরান ঢাকায় তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে জেল দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ইরফান সেলিমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবি সিদ্দিকী দিপুকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ডিএমপির রমনা গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল টাঙ্গাইল থেকে তাকে গ্রেফতার করে।