ইমরুল হাসান জিকু-কে প্রতারক বানানোর ব্যর্থ চেষ্টা

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

বরিশাল নগরীর আলেকান্দার বাসিন্দা ইমরুল হাসান জিকু-কে প্রতারণার ফাদে ফেলার অভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে।
জিকুর অভিযোগ সূত্র থেকে জানা যায় যে, নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ড, ঝাউতলা ৩য় গলীর বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম ওরফে শেখ হৃদয় তিনি তার নিকট আত্মীয় বটে। তার ঠিকাদারী ব্যবসার বিভিন্ন সহযোগিতার ভূমিকায় ছিল জিকু কিছুদিন যাবৎ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রতারক নামে সংবাদ পাওয়ার পরে বিয়ষটি সংবাদ কর্মীদের দৃষ্টিগোচর হলে সরেজমিনে তদন্তে যে চিত্র ফুটে ওঠে তা হলো- ভুক্তভোগী নগরীর কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিধবা উম্মে হাবিবা আক্তার (৫৫)।

 

তিনি তার ব্যক্তিগত স্বাক্ষাৎকারে বলেন-২০২১ সালে মে-জুন মাসে তার সঞ্চয়পত্র ভেঙে ১১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তৌহিদুল ইসলাম ওরফে শেখ হৃদয় ঠিকাদারী ব্যবসার জন্য ধার হিসেবে এখন পর্যন্ত টাকা টাকাই ফেরত পাইনি, আমি এখণ দিশেহারা।

 

এই লেনদের সাথে ইমরুল হাসান জিকুর কোন সম্পর্ক নেই। অনুসন্ধান প্রতিবেদন-২॥ ঠিকাদারী ব্যবসার এর আড়ালে আরেকটি দেখা যায় যে, কাশীপুর এলকার বাসিন্দা ডাঃ মোস্তাফা এর ছেলে হাসান মোহাম্মদ জিহান এর কাছ থেকে ঠিকাদারী ব্যবসার কথা বলে তৌহিদুল ইসলাম ওরফে শেখ হৃদয় ১৯ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছেন।

 

যা ইতিমধ্যে জিহান বাদী হয়ে তৌহিদুল ইসলাম ওরফে শেখ হৃদয়কে বিগত ১৭ এপ্রিল-২০২২খ্রি. তারিখ ওকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। নোটিশের মেয়াদ শেষ হলেই হয়তো তিনি মামলা করবেন। এবিষয় জিহানের লেনদেনের তদন্ত করলে জানা যায়- আমি টাকা দিয়েছি তৌহিদুল ইসলাম ওরফে শেখ হৃদয়- জিহানের সাথে জানা যায় তৌহিদুল ইসলাম ওরফে শেখ হৃদয় জিহানের সাথে প্রতারণা করেছে। তাই জিহান বিজ্ঞ আইনজীবির

 

মাধ্যমে ওকিল নোটিশ প্রেরণ করেছেন। নোটিশের মেয়াদ শেষে বিজ্ঞ আদালতের স্মরণাপন্ন হবে। এই টাকার সাথে ইমরুল হাসান জিকুর কোন
সম্পর্ক নেই। অনুসন্ধান প্রতিবেদন-৩॥

 

আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের বাসিন্দা সরদার মনোয়ার হোসেন এর ছেলে মোঃ ইমন সরদারের কাছ থেকে জেলা পরিষদের বিভিন্ন কাজ দেখিয়ে ব্যবসায়ের পার্টনার বানানোর কথা বলে যে টাকার কথা বলা হয়েছে তাহার কোন সত্যতা সরেজমিনে পাওয়া যায় নি।

 

এই টাকার সাথে জিকুর কোন সম্পর্ক নেই তাহাই প্রমানিত হয়। অথচ ইমনের ভাইয়ের সাথে জিকুর কিছু লেনদেনসহ সু-সম্পর্ক বিদ্যমান আছে। উক্ত পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে। অনুসন্ধান প্রতিবেদন-৪ বরিশাল নগরীর নতুন বাজার এলাকার ব্যবসায়ী নিসা নাফি ভ্যারাইটিজ স্টোর এর মালিক মোঃ রহমান মৃধা এর ছেলে নাসির উদ্দিন এর দোকান থেকে বিভিন্ন সময় বিকাশ ও স্টেশনারী মালামাল ক্রয়ের বিপরীতে ১৩ হাজার টাকা লেনদেরেন তথ্য পাওয়া গিয়াছে।

 

এবিষয় দোকানদারের খবর নিলে নাসির উদ্দিন জানান জিকু’র কাছে আমার বকেয়া পাওয়া ১৩ হাজার কিন্তু এর বিপরীতে একটি ৫০ হাজার টাকার চেক জমা আছে। অনুসন্ধান প্রতিবেদন-৫।

 

নগরীর পলাশপুর এলাকায় দলিল উদ্দিন স্কুলের উন্নয়ন কাজে জিকুর কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন দোকানে লেনদেন থাকলেও রাজমিস্ত্রিদের সাথে থাকতে পারে। অনুসন্ধান প্রতিবেদন-৬ বাবুগঞ্জ উপজেলার মেহেদি ট্রেডার্স এর মালিক মোঃ আরিফ হোসেনের কাছ থেকে কোন লেনদেনের তথ্য পাওয়া য়ায়নি।

 

 

অনুসন্ধান প্রতিবেদন-৭ বরিশাল নগরীর নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান হাওলাদার এর ছেলে জহিরুল
ইসলাম সুনাম এর কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয় ১৮ লক্ষ টাকা।

 

পরবর্তীতে তৌহিদুল ইসলাম ওরফে শেখ হৃদয় চাপে পরে চেক দিতে বাধ্য হয়। এবং চেক দেওয়ার কারনে ২০২২ সালে জহিরুল ইসলাম সুনাম বাদী হয়ে বরিশাল বিজ্ঞ আদালতে এনআই এ্যাক্টের ধারায় মামলা দায়ের করেন।

 

 

এটাই একমাত্র ব্যবসায়ী লেনদেন বুঝায়। এ বিষয় স্থানীয় ভাবে জানা যায় যে, আমি তৌহিদুল ইসলাম ওরফে শেখ হৃদয় সুনামের সাথে ব্যবসার অন্তরালে প্রতরণা করেছে এজন্য সুনাম বাদী হয়ে মামলা করেছে। এখন পরবর্তী কার্যক্রম বিজ্ঞ আদালতের উপর বর্তায়।

 

মামলা নং- ০৮/২০২২, ০৯/২০২২, ৬০/২০২২, ৬১/২০২২। অনুসন্ধান প্রতিবেদন-৮ মোটর সাইকেল ড্রাইভার সজিব পাওনা ২৯ হাজার টাকা যাহা মিস্ত্রির কাছে দেওয়া হয়েছে। মুলাদী ব্যবসায়ী জব্বার খানে ছেলে মোঃ সোলাইমান খান ইট, সিমেন্ট বাবদ ৭৮ হাজার যাহা জিকু ইতিমধ্যে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন।

 

মুলত একদল স্বার্থন্নোসি মহল প্রতারক তৌহিদুল ইসলাম ওরফে শেখ হৃদয় এর সাথে ইমরুল হাসান জিকুর আত্মীয়তার সম্পর্ককে পুজি করে প্রতারক হিসেবে তার নাম জড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা মাত্র। এ বিষয় ইমরুল হাসান জিকুর বক্তব্য হলো একটি মহল বার বার আমি ও আমার পরিবারের মান সম্মান নষ্ট করতে সমাজে এমন কাজগুলো করছে।