ঘরের মাঠে সিরিজে স্বাগতিক দলগুলো বড়জোর ১৪ সদস্যের স্কোয়াড গঠন করে থাকে। বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট এই প্রথা মানেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ১৬জনের স্কোয়াড। সেখানে ওপেনারসংখ্যা মোট চারজন! স্বাভাবিকভাবেই টপ অর্ডারে কারও না কারও বাদ পড়ার কথা। সেই দুর্ভাগা হবেন কে বা কারা? সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বিন মুর্তজা এই বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। তবে সান্ত্বনা দিয়ে রাখলেন ইমরুল কায়েস ও লিটন দাসকে।
ভ্রুকুটির আগে মাশরাফির ব্যাখ্যাটা শুনুন, দলের কম্বিনেশন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের কাছে সবার আগে। মাশরাফি মনে করেন, যে বাদ পড়বে তাঁকে নিয়ে আলাদা করে বসার কিছু নেই। সবাই ব্যাপারটি বুঝবে। মাশরাফি এ প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ টেনে বলেন, ‘এখানে কম্বিনেশনের ব্যাপার থাকে। ওপেনিংয়ে ইমরুল শেষ তিনটা ম্যাচে দুইটা সেঞ্চুরি, একটা বড় হাফ সেঞ্চুরি আছে। এখন কথার কথা যদি ইমরুলকে বসিয়ে দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে যদি লিটন খেলে, সে ক্ষেত্রে ডানহাতি-বা হাতি কম্বিনেশনটা জরুরি কতটুকু এটা দেখতে হবে। এর মানে এই না যে ইমরুল বুঝবে না। আবার ইমরুল খেললে লিটনকেও বুঝতে হবে সে (ইমরুল) ফর্মে আছে। এই ব্যাপারগুলো আছে।’
কাল মিরপুরে গড়াবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। এই ম্যাচ সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে দলের কম্বিনেশন প্রসঙ্গে মাশরাফি জানিয়ে দিলেন, যে বা যাঁরা বাদ পড়বে ‘তাদের খাটো করা বা তারা জরুরি না, সেটা একবারে জন্যও ভাবা হচ্ছে না।’ সে ক্ষেত্রে যে প্রশ্নটা ওঠে, টপ অর্ডারে এমনিতেই চার ওপেনার এবং সঙ্গে মুশফিক-সাকিব থাকায় কেউ না কেউ যে বাদ পড়বেন তা তো নিশ্চিত; তাহলে সবাইকে নিয়ে কেন শুধু শুধু ১৬ সদস্যের স্কোয়াড? জবাবে ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা দিলেন অধিনায়ক, ‘হয়তোবা আপনাদের কারও কাছে বিষয়টি যৌক্তিক না (১৬ জনের দল), তবে যদি ১৪ জনের দল করতাম, ইনফর্ম খেলোয়াড় দলের বাইরে রাখলে, ওদের ওপর আরও মানসিক আঘাত হতো।’
এরপর মাশরাফি তাকালেন সামনে। না, সংবাদ সম্মেলনে বসে না, কথায় বুঝিয়ে দিলেন চোখটা আসলে বিশ্বকাপে। আগামী জুনে ইংল্যান্ডে গড়াবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্ট পর্যন্ত মোটামুটি সবাইকে স্কোয়াডে ধরে রাখতে চান মাশরাফি, ‘আমরা ওই জায়গাটা আগে নিশ্চিত করতে চেয়েছি যে, ১৬ জনের দায়িত্ব আমাদের সবার আছে। এবং বিশ্বকাপ পর্যন্ত এভাবে যতটুকু পারা যায় ধরে রাখা। ইনশা আল্লাহ সবাই যেন সুস্থ থাকে, বেঁচে থাকে, এবং ফর্মে থাকে।’