পাকিস্তানের সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানিয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা একটি পিটিশন খারিজ হয়ে গেছে। পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেট তারকা সত্যবাদী, ন্যায়নিষ্ঠ নন দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা ওই পিটিশন সোমবার খারিজ হয়ে যায়।
দেশটির প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নিসার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ পিটিশন খারিজ করে দিয়ে বলেছেন, ইমরান খানের বিরুদ্ধে ওই পিটিশন এমন এক সময় দায়ের করা হয়েছিল; যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হননি। সুতরাং এই পিটিশন নিরর্থক।
আদালত বলেছেন, ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণার দাবিতে ওই পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল গত জাতীয় সংসদের মেয়াদে। আর গত সংসদের মেয়াদ বর্তমানে শেষ হয়েছে। বিচারপতি ইজাজুল আহসান তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘ওই পিটিশনকে ইতোমধ্যে অকার্যকর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’
পিটিশন দায়েরকারীর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চকে জানান, তারা একই ধরনের একটি পিটিশন হাইকোর্টেও দায়ের করেছেন। এ সময় বেঞ্চ তাকে জানান, অন্য যে কোনো আইনি ফোরামে এ ধরনের আবেদন করার অধিকার রয়েছে পিটিশন দায়েরকারীর।
তবে এই পিটিশন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন বলে পিটিশন দায়েরকারীর আইনজীবী আদালতকে জানানোর পর পাক প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ পিটিশন খারিজ করে দেন।
গত বছরের মে মাসে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দুর্নীতি তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট ছয় বিচারপতির নেতৃত্বে যৌথ তদন্ত দল (জেআইটি) গঠন করে। ওই সময় মিথ্যাবাদী এবং ন্যায়-নীতিহীন হিসেবে উল্লেখ করে ইমরান খানকে রাজনীতিতে অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানিয়ে পিটিশন দায়ের করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার দানিয়াল চৌধুরী। তখন থেকেই তার এই আবেদন সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে ছিল।
দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে লন্ডনে চারটি বিলাসবহুল বাড়ি কেনার দায়ে গত ৬ জুলাই পাকিস্তানের একটি আদালত নওয়াজ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। এতে নওয়াজকে ১০ বছর ও তার মেয়ে মরিয়মকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
অবৈধ সম্পত্তির মালিকানার দায়ে ও পানামা পেপারর্স কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় আরো দুটি মামলা চলমান রয়েছে নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর দেশটির আদালত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দেন।
সূত্র : ডন, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।