ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলে পানির সমস্যা সমাধানের দাবিতে প্রকৌশল অফিস অবরোধ করেছেন আবাসিক ছাত্রীরা। শনিবার সকাল নয়টা থেকে আধা ঘন্টার বেশি সময় ধরে প্রকৌশল অফিস অবরোধ করে রাখেন তারা। এ সময় ছাত্রীরা হল প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেন।
এছাড়াও অবরোধকালে হলের কক্ষে সাপ ঢোকা, খাবারের সমস্যা, আবাসিক শিক্ষকদের নিয়মিত হলে না থাকাসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন ছাত্রীরা।
তারা বলেন, প্রায় একমাস থেকে হলে ঠিকমত পানি থাকে না। মেয়েদের বাথরুমে এক মূহুর্ত পানি না থাকলে যে কি সমস্যা হয়, তা আমরা হল কর্তৃপক্ষকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। হল প্রভোস্ট আমাদের কথা শুনতে আন্তরিক নন। তাই আমরা বাধ্য হয়ে অফিস অবরোধ করেছি।
আন্দোলনের সময় প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ছাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, হলে আবাসিক শিক্ষকরা নিয়মিত আসেন না। অভিযোগ খাতায় অভিযোগ লেখা হলেও প্রভোস্ট কোন ব্যবস্থা নেন না। যে অবিভাবক আমাদের সমস্যার কথা শুনতে চান না এমন অবিভাবক আমাদের দরকার নেই।
এ সময় সমস্যা সমাধান হবে বলে ছাত্রীদের আশ্বস্ত করেন প্রক্টর।
অভিযোগের বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক অশোক কুমার চক্রবর্তী বলেন, একমাস থেকে সমস্যার অভিযোগটি সঠিক নয়। এক সপ্তাহ থেকে এই সমস্যা হচ্ছে। হলের পাম্পের সুইচ নষ্ট হয়েছিল। সমস্যার কথা প্রকৌশল অফিসকে জানালে তারা সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছিল। আর শুক্রবার সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকায় পানি উঠাতে পারেনি।
তবে হলে আবাসিক শিক্ষকরা নিয়মিত না থাকার অভিযোগের বিষয়ে এই মূহুর্তে কিছু বলতে পারছেন না বলে জানান।
প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আলিমুজ্জামান টুটুল বলেন, খালেদা জিয়া হলের পানির সমস্যা সমাধান করা হয়েছিল। কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। আমরা যতদ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেব।