ইন্দোনেশিয়ায় সুনামিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৮

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও সুমাত্রার মধ্যবর্তী সুন্দা স্ট্রেট উপকূলে সুনামির আঘাতে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ১৬৮–তে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৪৫ জন। এর আগে সকালে হতাহত মানুষের সংখ্যা জানাতে গিয়ে তা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা। ওই সময় মৃত মানুষের সংখ্যা ছিল ৪৩।

বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটার দিকে সুনামি আঘাত হানে। সুনামির আঘাতে শত শত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সমুদ্রের তলদেশে ভূমিধসের কারণে সুনামি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপের মধ্যবর্তী সুন্দা স্ট্রেট জাভা সাগরকে ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে প্যানদেগ্ল্যাং, দক্ষিণ লাম্পাং ও সেরাং এলাকায়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরও নুগ্রহ সুনামির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা, ভেসে যাওয়া সড়ক, গাড়ির ছবি পোস্ট করেছেন টুইটারে।

প্রত্যক্ষদর্শী নরওয়ের আগ্নেয়গিরিবিষয়ক আলোকচিত্রী ওয়েস্টিন লান্ড অ্যান্ডারসন বিবিসিকে বলেন, সুনামির সময় পশ্চিম জাভার আনিয়ার সৈকতে ছিলেন তিনি। ওয়েস্টিন বলেন, ‘আমি সৈকতে একা ছিলাম। আমার পরিবারের লোকজন হোটেলের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল। আমি ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের দৃশ্য তোলার চেষ্টা করছিলাম। এর আগের দিন সন্ধ্যায় ভারী অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছিল।’ তিনি জানান, ঘটনার সময় বড় ঢেউয়ের আঘাতে অগ্ন্যুৎপাত বন্ধ হয়ে যায়। চারপাশ অন্ধকার হয়ে যায়। হঠাৎ তিনি দেখতে পান, বড় ঢেউ তেড়ে আসছে। তিনি দৌড়ে পালান। শুধু দুটো ঢেউ আসে। প্রথম ঢেউটি শক্তিশালী না হওয়ায় তিনি পালিয়ে হোটেল কক্ষে চলে আসতে পারেন। শক্তিশালী দ্বিতীয় ঢেউটি হোটেলের ওপর দিয়ে উঠে যায়। রাস্তায় থাকা গাড়িগুলোকে ভাসিয়ে নেয়। তিনি আরও জানান, হোটেলের সবাই পাশের বনে আশ্রয় নেন। এখনো তাঁরা সেখানে পাহাড়ের ওপরে অবস্থান করছেন।

এর আগে সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা যান।