ইন্টারনেট ব্যবহারে ভ্যাট কমছে

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

অবশেষে ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহকের কাঁধ থেকে ভ্যাটের বোঝা কমছে।

সোমবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইন্টারনেট ব্যবহারে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে কমিয়ে আনার কথা জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

বৈঠক শেষে তিনি জানান, অর্থমন্ত্রীকে তিনি ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর থেকে ভ্যাট কমানোর যৌক্তিকতা বোঝাতে সমর্থ হয়েছেন। অর্থমন্ত্রী ইন্টারনেট ব্যবহারে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার আরও জানান, মোবাইল হ্যান্ডসেট সংযোজন শিল্পের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট তুলে দিতেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাত বিকাশের বড় সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা। প্রযুক্তিবিদ ও বর্তমান মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার নিজেও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারে দীর্ঘদিন থেকে তার লেখা ও বক্তব্যে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে তার মন্ত্রীত্বের সময়েই ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে ভ্যাট কমানোর সফল সিদ্ধান্ত আসল অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে।

এর আগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে একাধিক মন্ত্রী দায়িত্বে থাকার সময় ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেননি।

ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভ্যাট ১০ শতাংশ কমার ফলে খরচ কমবে সাধারণ গ্রাহকদের। বর্তমানে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে ভ্যাটসহ ২২ শতাংশ কর দিতে হয়। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ ছিল ভ্যাট। এখন ভ্যাট ৫ শতাংশ হওয়ার কারণে ১২ শতাংশ কর দিতে হবে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের। অর্থাৎ আগে ১০০ টাকার ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য যেখানে ১২২ টাকা দিতে হত, এখন সেখানে ১১২ টাকা খরচ হবে।

মোস্তফা জব্বার আরও জানান, দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট সংযোজন শিল্পের ক্ষেত্রে নতুন প্রজ্ঞাপনে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কথা বলা হয়েছিল তাও প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমদানির চেয়ে দেশে সংযোজনের খরচ বেশি হওয়ার কারণেই ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।