ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই বলেছেন, এ মুহূর্তে গোটা মানব সভ্যতা ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে। যেখানে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এক বিবৃতিতে একথা বলেন তিনি।
বিবৃতিতে পীর চরমোনাই আরো বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট জনগণের ওপরে ঋণ ও সুদের বোঝাকে আরো বাড়িয়ে দেবে। স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেটে কর্পোরেট করে ২.৫ শতাংশ ছাড় দেয়া। অন্যদিকে বাজেটের ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি খাত থেকে বাজেটের প্রকল্পিত ব্যয়ের ৩২.৮ শতাংশ টাকা ঋণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ খাত থেকেই ১৯.৪ শতাংশ, আর বিদেশি খাত থেকে ১৩.৪ শতাংশ টাকা। তারপরেও কর্পোরেট করে এই ছাড় কেবলই ধনীক শ্রেণীর স্বার্থ চিন্তা করেই দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন প্রশ্ন মুনাফার নয়, এখন প্রশ্ন মানুষ বেঁচে থাকার। এ সময়ে অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন মেটাতে কর্পোরেট কর আরো বৃদ্ধি করে মানুষ বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করার দরকার ছিলো। কিন্তু সরকার তা না করে পুঁজিপতিদের আরো ছাড়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
আর মানুষের প্রয়োজন মেটাতে সুদের ওপরে ঋণ করেছেন। এর মাধ্যমেও সেই পুঁজিপতিরাই লাভবান হবে। আসলতো পাবেই অতিরিক্ত সুদের টাকাও তাদের পকেটে যাবে। এতে ধনীরা আরো ধনী এবং গরিবরা আরো গরিব হবে। করোনার এই সংকটকে কেন্দ্র করে পুঁজিপতিদের মুনাফার থলে আরো একবার পূর্ণ করার পায়তারা করছে সরকার।
পীর চরমোনাই বলেন, কর্পোরেট কর কমানোর এই প্রস্তাব সমর্থন করা যায় না এবং করোনা পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন মেটাতে এ অর্থ বছরের জন্য অন্তত কর্পোরেট কর বৃদ্ধি করা প্রয়োজন ছিল।