ইতালিতে ব্যস্ত পরিবারে দেখা শিক্ষা জীবনের গল্প

:
: ৩ years ago

নানারকম অভিজ্ঞতা অর্জনের পাঠশালার নাম হলো প্রবাস জীবন। অনেকেই এই পাঠশালা থেকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যায়। তবে পুরুষের সফলতার গল্প মাঝে মাঝে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেলেও নারীদের বেলায় প্রবাসে গল্প একটু ভিন্ন রকম এবং কমই শোনা যায়।

এ রকমই একজন তরুণীর শিক্ষা জীবনের গল্প পাওয়া গেল ইতালিতে। তার নাম জুয়াইরিযা উদ্দিন দেখা। প্রবাসে সংসারের আয়ের জন্য অনেকই অর্থের পেছনে ছুটতে গিয়ে নিজের শিক্ষা জীবনকে চলন্ত পথেই বিদায় জানান।

কিন্তু অনেক পরিবারই রয়েছে যারা অর্থকে নয় শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের সন্তানকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে প্রতিনিয়ত আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদেরই একজন ইতালির ভেনিসে বসবাসরত নারী দেখা।

২০০৪ সালে সে মা-বাবার সঙ্গে ইতালির ভেনিসে পাড়ি জমান। এরপর শিক্ষার পথে তার জীবনের পথচলা। প্রাইমারি, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং এবার ফেরারা ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োটেকনোলজিতে অনার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন দেখা।

ভেরোনা ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স ডিগ্রিতে মলিকিউলার মেডিকেল বায়োটেকনোলজি বিষয়ে মেধা তালিকায় শিক্ষার সুযোগ পায়। শিক্ষা জীবনের পাশাপাশি মাধ্যমিক স্কুলে পড়াশোনা অবস্থায় একজন ভালো সংগীতশিল্পী হিসেবেও বিভিন্ন সময় পুরস্কার পান।

দেখার জন্ম বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলা সদরে। সে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপার অন্তর্গত মৌডুবী গ্রামের এম ডি সরোয়ার উদ্দিননের নাতনি এবং পটুয়াখালির খ্যাতনামা অ্যাডভোকেট, সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর এবং পটুয়াখালী জেলার আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল হক তালুকদারের নাতনি।

বাবা এম ডি আকতার উদ্দিন ইতালিয়ান রেল বিভাগে কর্মরত। মা একটা হোটেলে চাকরি করেন। বাবা-মা দু’জনই রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্সসহ মাস্টার্স করেছেন। দেখার ভবিষ্যতের স্বপ্ন পড়াশোনা শেষ করে বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করবে। সে মনে করে শিক্ষার বিষয়বস্তু মেডিকেল সায়েন্সের সাথে সম্পৃক্ত।

দেখার সফলতায় ভেনিস প্রবাসী বাংলাদেশিরাও আশার আলো দেখছেন। ইতালিয়ানদের পাশাপাশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা জীবন শেষ করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জায়গা করে নেবে-এমনটাই প্রত্যাশা সবার।