রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তার দুই বন্ধুর পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভুইয়ার আদালত রোববার (৩১ জানুয়ারি) এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) রিমান্ডের বিষয়টি জানা গেছে।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন, মর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১) ও নুহাত আলম তাফসীর (২১)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সাজেদুল দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
গতকাল চার জনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরাফাতের বাসায় যান। এরপর তিনজন উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং আরেক সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।
মামলার এজহারে আরও বলা হয়, মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল।
ধর্ষণের পর রাতে ওই শিক্ষার্থী বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে ওই তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর রোববার ওই তরুণী মারা যান।