পটুয়াখালীর বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে জেলা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) শাহ মো. রাজ্জাকুর রহমানকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো রাজ্জাকুরের বিরুদ্ধেই বাজে আচরণের অভিযোগ তুলেছেন সোনিয়া।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পটুয়াখালী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির অফিসে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
পটুয়াখালী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, বদরপুর পল্লীবিদ্যুতের সাবস্টেশনের ইউপি কর বাবদ আড়াই লাখ টাকা পরিশোধের জন্য সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের কাছে গত ১৮ মে সোনিয়া আক্তার একটি চিঠি পাঠান। ওই পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ জুন পটুয়াখালী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে জবাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি চিঠির জবাব না পড়ে তাৎক্ষণিক কর পরিশোধের জন্য মঙ্গলবার সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের কার্যালয়ে আসেন। সমিতির পক্ষ থেকে তাকে চিঠির জবাবের বিষয়টি দেখানো হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাৎক্ষণিক করের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে সমিতির অফিসে তালা দেওয়ার হুমকি দিয়ে জি এমকে লাঞ্ছিত করেন।
পটুয়াখালী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) শাহ মো. রাজ্জাকুর রহমান বলেন, আমরা তার চিঠি পেয়ে সময়মতো জবাব দিয়েছি। তিনি জবাব পড়েছেন কি না জানি না। মঙ্গলবার তিনি দলবলসহ আমার কক্ষে এসে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে অফিসে তালা দেওয়ার হুমকি দেন। আমি নিরুপায় হয়ে জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানাই। পরে তাদের হস্তক্ষেপে তিনি আমার কার্যালয় ত্যাগ করেন।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুমায়ন কবির বলেন, এ বিষয়ে অবহিত করলে আমরা চেয়ারম্যানকে বলেছি, আপনার পরিষদের পাওনা থাকলে তার জন্য চিঠি দেবেন। ওখানে যাওয়ার তো প্রয়োজন নেই।
এদিকে, এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেখানে দেখা যায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪৪ মিনিটে চেয়ারম্যান সোনিয়া ও তার লোকজন জিএমের কক্ষে প্রবেশ করেন। পরে দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে তিনি কক্ষ ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্সের টাকার জন্য আমি তিনটি নোটিস করেছি। পল্লীবিদুৎ দীর্ঘদিন ধরে কোনো টাকা পরিশোধ করছে না। নোটিস পাওয়ার পরও তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। সে কারণে আমি গিয়েছিলাম। কিন্তু জিএম আমার সঙ্গে উল্টো খারাপ ব্যবহার করেছে। আমি তার সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করিনি।