ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের
#

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ‘ওয়ার্ল্ডস ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় নাগরিক সমাবেশে ইউনেস্কোর মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানানো হয়। শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বক্তব্যে বলেন, ‘আজ ১৮ নভেম্বর ২০১৭ অপরাহ্নে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (প্রাক্তন রেসকোর্স ময়দান) দেশের গণ্যমান্য ও বরেণ্য ব্যক্তিবর্গের এক বিশাল সমাবেশ হয়। এতে উপস্থিত দেশের অগ্রগামী ব্যক্তিবর্গ, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের অনন্য-অসাধারণ ভাষণকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মরণকালের আন্তর্জাতিক প্রামাণিক দলিল’ হিসেবে নিবন্ধিত করায় আপনাকে এবং আপনার পূর্বসূরি ইরিনা বোকোভাকে হৃদয়-উৎসারিত ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছে।

বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ সম্ভবত পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র ভাষণ, যা একটি জাতি-রাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে। তাঁর এ কালজয়ী ভাষণ সেদিনের সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে বিপুলভাবে আলোড়িত ও আন্দোলিত করেছিল এবং দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কৃষ্ণ রাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর নিরস্ত্র জনতার ওপর স্মরণাতীতকালের নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে যার যা কিছু হাতে ছিল তা নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং পরিশেষে অগণিত শহীদের জীবন ও মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের দেশ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানি সামরিক জান্তার নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর সশস্ত্র যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত আমাদের মহান নেতা সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় বাঙালির জাতীয় মুক্তির দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়ে আসেন। তাই ইতিহাসের এই মহানায়কের আন্দোলন-সংগ্রাম ছিল ১৯৪৮ সালে ১০ই ডিসেম্বর জাতিসংঘ ঘোষিত সার্বজনিন মানবাধিকার সনদের আদর্শের সঙ্গে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ। আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে, আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ কেবলমাত্র বাংলাদেশের মানুষকেই নয়; বিশ্বের দেশে দেশে নির্যাতিত-নিপীড়িত, শোষিত-বঞ্চিত মানবজাতি-জনগোষ্ঠীকে সুবিচার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ও শান্তির পক্ষে যুগে যুগে অনুপ্রাণিত করবে। আমরা, বাংলাদেশের নাগরিকরা ইউনেস্কোর শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক সকল কর্মকাণ্ডের প্রতি জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে আমাদের আন্তরিক সমর্থন জ্ঞাপন করছি, যা পৃথিবীর সকল দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যের সেতুবন্ধন তৈরি করবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।’

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন