ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

:
: ১ বছর আগে

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়েছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো তারা পৌঁছে গেছে ফাইনালে। তাও আবার প্রথম কোনো আফ্রিকান দল হিসেবে। দক্ষিণ আফ্রিকার পুরুষ দলও কখনো কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে পারেনি।

সেমিফাইনালে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাতে কেপটাউনে প্রোটিয়া নারীরা আগে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি ইংলিশ মেয়েরা। তাতে ৬ রানের দারুণ জয়ে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে নাম লেখায় দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা। রোববার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৯৬ রান তোলেন দক্ষিণ আফ্রিকার লরা উলভার্ট ও তাজমিন ব্রিটস। এই রানে লরা ফেরেন ৪৪ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫৩ রান করে। এরপর তাজমিন ও মারিজানে কাপ দলীয় সংগ্রহকে নিয়ে যান ১৪২ পর্যন্ত। দলীয় এই রানে তাজমিন ফেরেন ৫৫ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করে। মারিজানে অবশ্য আউট হননি। তিনি ১৩ বলে ৪ চারে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করে প্রোটিয়া নারীরা।

১৬৪ রান তাড়া করে জিততে ভালো জুটির প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডে। ড্যানি ওয়্যাট-সোফিয়া ডাঙ্কলি ৫৩ রানের জুটি গড়ে ভালো সূচনার ইঙ্গিত দেন। কিন্তু পার্থক্য গড়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার মিডিয়াম পেসার নাদিন ডি ক্লার্ক। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে সেট ব্যাটার ন্যাট সিভারের উইকেট নেন। পাশাপাশি কোনো বাউন্ডারি দেননি। তার তৈরি করা চাপ থেকে আর বেরুতে পারেনি ইংলিশ মেয়েরা।

এছাড়া আয়োবঙ্গা খাকা ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। অভিজ্ঞ শাবনিম ইসমাইল ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট।

জেতার জন্য শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১২ রান। সেই রান ইংল্যান্ডকে নিতে দেননি শাবনিম। ৫ রান দিয়ে ৬ রানের দারুণ এক জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়েন।

ব্যাট হাতে ৬৮ রান ও ৪টি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরা হন দক্ষিণ আফ্রিকার তাজমিন।