ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান ওমর বীর উত্তম বলেছেন, প্রিয় ভাই ও বোনেরা বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আমি আপনাদের দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য।
আশা করি আপনারা আমাকে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে গ্রহণ করবেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় শাহজাহান ওমর বলেন, সর্বকনিষ্ঠ হলেও, আমার চেতনা জয়বাংলা কিন্তু সর্বকনিষ্ঠ নয়, এটা অনেক পুরাতন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আর্মি পরিত্যাগ করে জুম্মু-কাশ্মীর হয়ে ভারতে আসি। সেখান থেকে ওসমানীর সঙ্গে দেখা করে মিলনদের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে দেশে আসি এবং সর্ব প্রথম আমার ভাই আলহাজ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট গ্রামে উপস্থিত হই। এরপর বরিশাল বিভাগের ৩৪টি থানায় ৩৪টি সংগঠন করে বারবার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি।
তিনি বলেন, আমার সৌভাগ্য হয়েছিল, এদেশের জন্য তিনবার গুলিবিদ্ধ হওয়ার। আর স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু এই অঞ্চল থেকে একমাত্র আমাকে জীবিতদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করেছিলেন। আমি বঙ্গবন্ধুর ডাকে ৭১ সালে যুদ্ধ করেছি। আমার চেতনা ছিল জয় বাংলা। আর এই জয় বাংলা বলেই আমি শত্রুবাহিনীদের ওপর অ্যাটাক করতাম। কাজেই আমার চেতনা নতুন কিছু নয়।
নৌকা প্রতীকের এ প্রার্থী বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু দেশ স্বাধীনই করেননি। বঙ্গবন্ধুর মতো দৃঢ় নেতৃত্ব না থাকলে এ দেশ থেকে মিত্রবাহিনী যেত কি না আমার সন্দেহ। ৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় কিন্তু এখনও জাপান-কোরিয়ায় আমেরিকান আর্মি। জার্মান-কিউবাতে আমেরিকান আর্মি। বঙ্গবন্ধুর এটা বিশেষ অবদান। স্বাধীনতা ছাড়া আর কোনো কারণে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে হয়, তাহলে আমরা বলব বঙ্গবন্ধু এই জাতিকে একটা নিরলস-নির্ভেজাল জাতি উপহার দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস জনসভার সঞ্চালনা করেন।
সভায় শাহজাহান ওমরের আগে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, বরিশাল-৬ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল হাফিজ মল্লিক নৌকা, বরিশালের সন্তান অভিনেতা মীর সাব্বির, অভিনেত্রী তারিন জাহান প্রমুখ।