যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতান আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
শনিবার (১৯ অগস্ট) রাত সাড় ৯টার দিকে তিনি ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার ছেলে সাদাব হুমায়ুন সুলতান দ্য রিপোর্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাদাব হুমায়ুন সুলতান জানান, শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত বোর্ড টিপু সুলতানের লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন। এরপর পরই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
টিপু সুলতান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে গত মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বুধবার থেকে তাকে নিবিড় তত্ত্বাবধানে (সিসিইউ) রাখা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকটি মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত রিপোর্টও প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়।
সাদাব আরও জানান, রবিবার (২০ আগস্ট) বেলা ১১টায় সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতানের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ প্লাজায়। এরপর মরদেহ নেওয়া হবে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে। সেখানে বাদজোহর জানাজা শেষে তাকে যশোরে আনা হবে। বাদআছর যশোর শহরে জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হবে সংসদীয় এলাকা মণিরামপুরে। সেখানে বাদমাগরিব জানাজা শেষে জন্মস্থান খুলনার ডুমুরিয়ায় নেওয়া হবে। বাদএশা ডুমুরিয়ায় শেষ দফা জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
খান টিপু সুলতান পঞ্চম, সপ্তম ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরের মণিরামপুর আসন হতে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। এরপর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে কাছে হেরে যান তিনি।
টিপু সুলতান ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।