তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পৃথিবীর কোনও সরকারই শতভাগ নির্ভুল কাজ করতে পারে না। তাই আওয়ামী লীগেরও কিছু ভুল-ত্রুটি রয়েছে। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে সেই ভুলগুলো শুধরে দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে সরকার।
এ কারণে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে নেতাকর্মীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরের পর নাটোরের গুরুদাসপুরে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে আবারও হাওয়া ভবনের দুর্নীতিসহ দেশকে তারা পেছনের দিকে নিয়ে যাবে। আবারও হবে বাংলা ভাই, বোমা ফাটবে একসাথে ৫ হাজার জায়গায়। আওয়ামী লীগ দেশকে নিয়ে যেতে চায় সামনে। বিএনপি দেশকে নিতে চায় পেছনে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুধু উন্নয়ন করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের স্লোগান ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ, যা আজ বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন দেশের প্রতি মানুষের হাতে ফোন আর ইন্টারনেট। এর ফলে আগে যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকার শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারতেন, এখন বেশি ভর্তি হন ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীরা। তারা অনলাইনে ফরম পূরণ ও পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন সেবা এখন ডিজিটালাইজড হয়েছে, যার ফলে কমেছে মানুষের ভোগান্তি।
‘এরপর ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের স্লোগান ছিল গ্রাম হবে শহর, যা এখন বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ইত্যাদি সেবা ছাড়াও গ্রামের রাস্তাঘাট, অবকাঠামো সব কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। বেড়েছে মানুষের আয়। এখন একজন লেবার এক দিনের পারিশ্রমিক দিয়ে ১২-২০ কেজি চাল কিনতে পারেন। এভাবে বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ এখন হয়েছে উন্নতির রোল মডেল।’
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের এমন উন্নয়নের বিপরীতে তারেক জিয়ার কথামতো বিএনপির স্লোগান হয়েছে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। অর্থাৎ তারা দেশকে আবারও পেছনে নিতে চায়।
এর আগে, উপজেলা আওয়ামী লীগের ওই সম্মেলন উদ্বোধন করেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান প্রমুখ।