আড়াই বছরে গৌরনদী মডেল থানা থেকে ৪ ওসি প্রত্যাহার

:
: ৬ years ago

অনিয়ম-দুর্নীতি, দায়িত্বে অবহেলাসহ নানা অভিযোগে আড়াই বছরে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানার চার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বর্তমানে জেলার প্রবেশদ্বারে অবস্থিত অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ এই থানাটি পরিদর্শক (তদন্ত) দিয়েই চলছে।

জানা গেছে, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলামকে ক্লোজড করা হলে এখন পর্যন্ত এই থানার দায়িত্ব দেওয়ার মতো কোনো কর্মকর্তার নাম চূড়ান্ত করেনি জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়।

তবে মাদক ও রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই থানা এলাকার দায়িত্ব যাকে দেওয়া হবে ‍তিনি চৌকশ কোনো অফিসার হবেন বলেই জানিয়েছে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গত বছরের ১ আগস্ট আগৈলঝাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম গৌরনদী মডেল থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন। কয়েক মাসের মাথায় হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতারের পর থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরপর নিজ বাহিনী থেকেই তদন্ত কমিটি গঠন হয় তার বিরুদ্ধে। আর যোগদানের ৫ মাস ২৫ দিন পর চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

এর আগে ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল গৌরনদী মডেল থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন ফিরোজ কবির। যোগদানের পর তিনি মাদকবিরোধী সভা-সমাবেশ করে মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেন। এর মাত্র একমাসের ব্যবধানে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক মাসের মাথায় ব্যবসায়ী ও প্রবাসীকে নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে যোগদানের মাত্র চার মাসের মধ্যে ৩১ জুলাই তাকে গৌরনদী থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

২০১৫ সালের ১০ আগস্ট যোগদান করেন ওসি আলাউদ্দিন মিলন। ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ মিলনকে ক্লোজড করে ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

এর আগে আগৈলঝাড়া থানা থেকে ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর গৌরনদী থানায় সাজ্জাদ হোসেন ওসি হিসেবে যোগদান করেন। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই তাকে ক্লোজড করে বরিশাল পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।

কি কারণে আগের ওসিদের প্রত্যাহার করা হয়েছে তা জানা নেই বলে জানিয়ে বরিশাল জেলার বর্তমান পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, পারফরমেন্স খারাপ হওয়ায় ওসি মনিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।