আসলেন, জয় করলেন, চলে গেলেন পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন

:
: ৬ years ago

খুব যে বেশি এমনটা নয়, সংখ্যটা কমই-যারা মানুষের হৃদয়ে দাগ কাঁটতে পারে। স্থান করে নেয় শ্রদ্ধার। তেমনি একজন বরিশালের সাবেক পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন। আজ থেকে তিনি সাবেক। গতকালই (৩০ এপ্রিল ২০১৮) দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটনের। এই তো সেদিন, মানে ২০১৬ সালের ২১ জুন আসেন দুষ্টের দমন আর সৃষ্টির পালনে বরিশাল মহনগরীর পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্ব দিতে। কতটা পেরেছেন সে কর্ম সম্পাদনে? যাবার বেলায় সবার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশে হয়তো উত্তর মিলেছে কিছুটা। অনেক সময়ই বলা হয়, সাংবাদিক-পুলিশ দা কুমাড়ের সম্পর্ক।

প্রথম সারির প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিকের ব্যুরো প্রধান বা স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ব্যুরো প্রধানরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ করেন কমিশনার এস এম রুহুল আমিনকে তখন বলার অপেক্ষা রাখেনা কতটা মিডিয়া বান্ধব ঐ পুলিশ কমিশনার। গত শনিবার নগরীতে সাংবাদিকদের সাথে বিশেষ মতবিনিময়ে বরিশালের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা অভিমত প্রকাশ করেন বিদায়ী কমিশনার রুহুল আমিনের দায়িত্ব কালিন সময়ের নানা দিক নিয়ে। মিডিয়া বান্ধব তথা মানুষের ভরসার স্থলে রুপ নেয়ায় ভূয়সী প্রশংসা করেন রুহুল আমিনের।

সর্বোপরি, এই রুহুল আমিনদের ন্যায়পরায়নতার কর্মেই পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরছে। আলোকিত হচ্ছে সমাজ। আর হ্যা, সরকারি চাকুরিতে এ শহরে অনেকেই আসে, যায়। কিন্তু কে কাকে ধারন করে? এমন অনেক কর্তারা আছেন যারা বরিশাল ছাড়লে নগরবাসীর মুখে হাসির ছাপ, আবার রহুল আমিনদের মত অফিসাররা চলে গেলে ব্যথিত হয় মানুষ। আর এটাই সত্য, এখানকার মানুষ ভালোবাসতে জানে যেমন, প্রয়োজনে আবার ঘৃনা প্রকাশ করতেও পিছপা হয় না। অর্থাৎ, আপনি বরিশালকে ভালোবাসলে ভালোবাসার প্রতিদান পাবেন, প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ দুভাবেই। আবার এর উল্টোটাও রয়েছে…। লেখার শেষ কথা ঘৃনা নিয়ে নয়, ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বরিশালে আগতরা যেন বিদায় নেয় তেমনটাই প্রত্যাশা কীর্তনখোলার তীরের মানুষদের।