আশুলিয়ায় প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago
ধর্ষণ

বিস্কুট কিনতে গিয়ে দোকানের ভিতরে ব্যবসায়ী কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে প্রথম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। আশুলিয়ার জামগড়া গাজীরচট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো হুমকির শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।নিজের দোকানে আটকিয়ে রেখে ওই শিশুকে একটি রুমে মুখ বেধে ধর্ষণ করেন ওই মুদী ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশুর বাবা বাদী হয়ে দোকানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

ধর্ষক শিশুর বাবা মহন আলীকে এ নিয়ে মুখ খুলতে নিষেধ করেছেন, কাউকে ধর্ষণের ঘটনা জানালে উল্টো তাদেরকে এলাকার ছাড়ারও হুমকি দেন তারা। রবিবর রাতে আশুলিয়ায় থানা এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়। শিশুটির বাবা মহন আলী বলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রবিবার রাতে মেয়ে বাড়ির পাশে দোকানে বিস্কুট কিনতে গেলে কৌশলে দোকানের কামাল হোসেন তাকে দোকানের ভিতরে নিয়ে যায় ও সাটার বন্ধ করে দেয়। পরে মেয়েকে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটি চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে কামাল হোসেন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আশুলিয়ার থানার পুলিশ ও বাবা-মা মেয়েটি অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টোফ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

ধর্ষক কামাল হোসেন আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকার আবুল মাঝির ছেলে। ধর্ষক কামালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কামালসহ চার ভাই কেউ বাড়িতে নেই। এমনি তার বাবা আবুল মাঝিরও দেখা মেলেনি। স্থানীয়রা জানান, ঘটনা জানাজানি পর থেকেই কামালের পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, খবর পেয়ে ধর্ষককে গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই শিশুকে উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।