আর ককপিটে বসা হবে না পৃথুলার

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফাস্ট অফিসার ছিলেন পৃথুলার। ফেসবুক পেজে নিজের সম্পর্কে পৃথুলা লিখেছেন- ‘তিনি সাধারণ মেয়ে। তবে অসাধারণ ভালোবাসা রয়েছে উড়োজাহাজ, সাহিত্য ও ভাসমান প্রাণীর প্রতি।’ তবে যে উড়োজাহাজকে তিনি ভালোবাসতেন সেই উড়োজাহাজ দুর্ঘটনাতেই সোমবার না ফেরার দেশে চলে গেছেন পৃথুলা। নেপাল থেকে তার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হওয়ার পর বন্ধু ও পরিচিতজনদের শোক বার্তায় ভরে উঠেছে ফেসবুক।

আরিরাং ফ্লাইং স্কুল ও নর্থ-সাউথ ইউনির্ভার্সিটি থেকে পড়াশোনা করেছেন পৃথুলা। এরপর ২০১৬ সালে যোগ দেন ইউএস-বাংলা এয়ার লাইন্সে। তবে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শেষ পর্যন্ত অকালে জীবনপ্রদীপ নিভে গেল মেধাবী এ বৈমানিকের।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনার শিকার উড়োজাহাজের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান। তিনি জীবিত আছেন।

ক্যাপ্টেন আবিদের ফেসবুকে দেখা যায়- ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজ থেকে তিনি পড়াশোনা করেছেন। ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে যোগ দেওয়ার আবিদ বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ছিলেন। তার এক বন্ধু জানান- বিমান বাহিনীতে আবিদের মিগ-২৯ চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাদের সময়কালে আবিদই ছিলেন সব থেকে মেধাবী অফিসার।

ইউএস বাংলার কর্মকর্তারা আরওজানান, দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজটিতে ক্যাপ্টেন আবিদ, ফার্স্ট অফিসার পৃথুলা ছাড়াও ক্রু হিসেবে ছিলেন নাবিলা ও খাজা হোসেন। কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃতের তালিকায় খাজা হোসেনের নাম রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ছিলেন পৃথুলাও।