গাজীপুরে আর্থিক লেনদেন ও ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে বাড়িওয়ালার ৯ বছরের শিশু সন্তানকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত হলেন টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার তেপাড়িয়া গ্রামের মাখনের ছেলে সোহাগ (৩৫)। নিহত শিশু গাজীপুরের কুনিয়া এলাকার লতিফ সরকারের ছেলে তামজিদ (৯)।

রোববার (১২ মার্চ) বিকেলে গাছা থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান পুলিশের উপ-কমিশনার মাহবুব উজ জামান।

উপ-কমিশনার বলেন, কুনিয়া পাছর এলাকার বাসিন্দা লতিফ সরকারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন অভিযুক্ত সোহাগের পরিবার। আর্থিক লেনদেন, কটূক্তিসহ বিভিন্ন কারণে বাড়ির মালিক লতিফ সরকারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন সোহাগ। এর জেরে গত ১০ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে সোহাগ ও তার কয়েকজন সহযোগী লতিফ সরকারের শিশু ছেলে তামজিদকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে শিশুর বাবা গাছা থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে টাঙ্গাইলের তেপাড়িয়া এলাকা থেকে আসামি সোহাগকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (১১ মার্চ) রাতে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনার প্রত্যন্ত চর থেকে শিশুটির বালিচাপা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ জানায়, সুদের টাকা ও বাড়ি ভাড়া দিতে দেরি হলে লতিফ সরকার তার বাবা ও পরিবারকে অপমাণ করে। এর প্রতিশোধ নিতে গত ১০ মার্চ ভিকটিম তামজিদকে অপহরণ করে সিএনজি অটোরিকশাযোগে গাজীপুর চৌরাস্তা নিয়ে যান। সেখান থেকে বাস যোগে টাঙ্গাইলের পাকুল্লা গিয়ে বাসস্ট্যান্ড নামেন। পরে আসামির নিজ বাড়ির উত্তর পাশে নিচু জমির মধ্যে ভিকটিম তামজিদকে নিয়ে রাতে অবস্থান করেন।

পর দিন ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জের চৌহালি থানার পশ্চিম পাশে জনতা ঘাটে যান। সেখান থেকে নৌকা দিয়ে যমুনা নদী পার হয়ে তামজিদকে নদীর পশ্চিম পাড়ে নির্জন চরের মধ্যে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে ভিকটিম তামজিদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ভিকটিমের গলায় ধারালো চাকু দিয়ে পোচ মারে এবং মরদেহ বালিচাপা দিয়ে পালিয়ে যান।

তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।