আর্জেন্টিনায় জামাল ভূঁইয়া, খেলবেন কোথায়?

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

জামাল ভূঁইয়া বরাবরই এক রহস্যের নাম। ২০২১ সালে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব থেকে কলকাতা মোহামেডানে যোগ দেওয়ার সময় সকালে এক কথা বিকেলে আরেক কথা বলেছিলেন। এবার শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র থেকে আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের দল সোল দ্য মায়োতে যোগ দেওয়ার বিষয়টিও রহস্যের জালে ঘিরে রেখেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র থেকে দাবি করা হচ্ছে- জামাল ভূঁইয়া আগামী মৌসুমে তাদের ক্লাবে খেলবে বলে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। অথচ, জামাল ভূঁইয়া বলছেন কোনো চুক্তি হয়নি শেখ রাসেলের সঙ্গে। উল্টো তিনি শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিরুদ্ধে ব্যাংকের চেক ডিজঅনারের অভিযোগ তুলেছেন।

 

শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কর্মকর্তা মো. ফখরুদ্দিন জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘জামাল ভূঁইয়া আমাদের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ থেকে গিয়েছেন। অন্য কোনো ক্লাব যখন তাকে নেয়নি তখন তিনি গত বছরের পারিশ্রমিকের ৩০ ভাগ কমে আমাদের ক্লাবে থেকে যাওয়ার জন্য চুক্তি করেছেন। তবে তিনি আগে চলে যাওয়ায় বাফুফের ফরমে তার স্বাক্ষর নিতে পারিনি। কারণ, তখনো বাফুফের ফরম আমরা পাইনি। জামাল বলে গিয়েছেন ফিরে ওই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করবেন।’

জামাল ভূঁইয়া এখন আর্জেন্টিনায় রয়েছেন। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের লোগোর সামনে ৬ নম্বর জার্সি হাতে একটা ছবি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করে জামাল ভূঁইয়া কোথায় আছেন সে প্রশ্নের জানান দিয়েছেন। কারণ, কয়েকদিন ধরে নিজের অবস্থান পরিস্কার করছিলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার এটাই সময়।’ একই সঙ্গে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাকে আমন্ত্রণ করার জন্য।’

এই পোস্ট বলে দিচ্ছে আগামী মৌসুমে আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের ক্লাব সোল দ্য মায়োতে তার খেলার সম্ভাবনাই উজ্জ্বল। যদিও তিনি আর্জেন্টিনা থেকে নিজেদের ভবিষ্যত সম্পর্কে জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘আগামী মৌসুমে কোথায় খেলবো সে সিদ্ধান্ত দ্রুতই নেবো।’

শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কাছে এক মাসের বেতন পাওনা আছে জামালের। টাকার পরিমান ৭ লাখ ৫ হাজার। ডেনমার্ক যাওয়ার আগে শেখ রাসেল যে চেক দিয়েছিল তা নাকি ব্যাংক থেকে ডিজঅনার হয়েছে। তবে শেখ রাসেলের কর্মকর্তারা বলছেন, নির্ধারিত সময়ের আগে চেক ব্যাংকে জমা দিয়েছিলেন জামাল। যে কারণে, ডিজঅনার হয়েছে।

শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা জামালকে বিশ্বাস করেছিলাম। যে কারণে তার সঙ্গে এক মৌসুমের চুক্তি করেছি। জামাল গত মৌসুমের এক মাসের যে বেতন পাবেন তার চেক দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ওই টাকা সে ফিরলেই পেয়ে যাবেন। অথচ তিনি দেশের বাইরে থেকে অভিযোগ করছেন টাকা পাচ্ছেন না। এটা তার কূটকৌশল।’

শেখ রাসেলের টাকার বিষয়ে বাফুফেকে কি জানিয়েছেন? জামাল ভূইয়া বলেছেন, ‘এখনো জানাইনি। তবে টাকা না পেলে প্রথমে বাফুফে ও পরে ফিফাকে জানাবো।’ শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রতো আপনার পাওনা পরিশোধ করতে প্রস্তুত। তছাড়া ৭ লাখ ৫ হাজার টাকা তো বড় কোনো ইস্যুও না। আপনি দেশে ফিরলেই তো টাকা পেয়ে যাবেন বলছেন তারা। ‘দেখি তারা দেয় কিনা’-বলেন জামাল ভূঁইয়া।

আপনি শেখ রাসেলের সঙ্গে চুক্তি করছেন এমন একটা ছবিতো ক্লাব গণমাধ্যমকে সরবরাহ করেছে। এ প্রসঙ্গে জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘ওটা পুরোনো ছবি।’ আপনি কি ক্লাবকে জানিয়েছিলেন যে আগামী মৌসুমে খেলবে না। জামাল ভূঁইয়ার জবাব,‘বলার প্রয়োজন ছিল না। কারণ, ৩১ জুলাই শেখ রাসেলের সঙ্গে আমার চুক্তি শেষ হয়ে গেছে।’

আপনি বলছিলেন বাফুফের ফরমে স্বাক্ষর করেননি। তাহলে কি প্রাথমিক চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন? জবাবে জামাল ভূঁইয়া বলেছেন, ‘আমি শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কোনো ধরনের চুক্তিতেই স্বাক্ষর করিনি। তারা আমাকে চুক্তি করার জন্য ডেকেছিল,আমি যাইনি।’

যখন ডেকেছিল তখন তাদের কি বলেছিলেন? ‘আমি ক্লাবকে বলেছিলাম কোনো ধরনের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের আগে আমার সব পাওনা পরিশোধ করতে হবে। করেনি। তাই স্বাক্ষরও করিনি’-বলেন জামাল ভূঁইয়া।

 

২০ আগস্ট জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হবে। কবে নাগাদ ফিরবেন আপনি? ‘বাফুফে যখন আমাকে ফ্লাইট টিকিট দেবে তখন আমি ফিরবো’-জবাব জামাল ভূঁইয়ার।

তবে বাফুফে থেকে জানা গেছে জামালকে বারবার ফিরে আসার তারিখ জানার চেষ্টা করেও তারা পারছে না। যে কারণে, তাকে টিকিট পাঠাতে পারছে না। জামালের ফিরে আসার টিকিট পাওয়ার কথা ডেনমার্ক থেকে। এখন জামাল ভূঁইয়া টিকিট চাচ্ছেন আর্জেন্টিনা থেকে ঢাকায় ফেরার। তাতে বাফুফের খরচ হবে তিনগুণ।

তারপরও জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার জন্য বাফুফেকে টিকিট দিতেই হবে। তবে জামাল বাফুফেকেও রহস্যের মধ্যে রেখেছেন, পরিস্কার করছেন না কবে ফিরবেন। যদি ডাক পান তাহলে জাতীয় দলের ক্যাম্পের প্রথম দিন থেকে যে জামাল অনুশীলনে থাকতে পারবেন না সেটা পরিস্কার। সে ইঙ্গিত বাফুফেকে দিয়েও রেখেছেন অধিনায়ক।

আইন শৃংখলা বাহিনীজাতীয়প্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago