দিনাজপুরে ৩ দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাদ যোহর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার শুরু হয়েছে। আগামী ২ ডিসেম্বর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে তাবলিগ জামাত আয়োজিত এ ইজতেমায় তাবলিগ জামাতসহ প্রায় এক লাখ মুসল্লির সমাগমের আশা করছেন আয়োজকরা।
আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরুর পরেও দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা দুনিয়া ও আখিরাতের কামিয়াব লাভের আশায় এই মাঠে আসছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার মধ্যে ইজতেমার প্যান্ডেল ভরে যায়।
শুক্রবার ইজতেমা প্যান্ডেলে জেলার বৃহৎ জুমার নামাজের জামাত হবে বলে জানান তাবলীগ জামাতের মুরব্বিরা।
এদিকে মাঠের চারপাশের প্রবেশ পথে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বক্সসহ নিরাপত্তার বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, মেসওয়াক, টুপি, তসবীহ, জায়নামাজসহ আরও অনেক ধরনের দোকান বসেছে।
ইজতেমা মাঠের তাবলিগ জামায়াতের জিম্মাদার আলহাজ্ব রায়হানুল আমিন জানান, ইজতেমায় আল্লাহ’র দীনে সঠিক পথে চলার ওপর বয়ান করা হবে। দুনিয়া ও আখিরাতে কিভাবে কামিয়াব লাভ করা যায় ও মৃত্যুর পর বা আখেরাতের জিন্দেগি কেমন হবে- ইত্যাদি ইজতেমায় বয়ান হবে।
আয়োজক কমিটির প্রফেসর সাইখুল আলম জানান, ইজতেমায় ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা একটি জামাত অংশ নিয়েছে। বিদেশি মেহমানদের জন্য মাঠের পশ্চিম পাশে খাস কামরা (বিশেষ কক্ষ) তৈরি করা হয়েছে। আঞ্চলিক ইজতেমায় মাওলানা আব্দুল মতিন, মাওলানা মো. মোশাররফ হোসেন ও ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মতিনসহ ১১ জনের একটি দল যারা মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে পর্যায়ক্রমে বয়ান করবেন। এছাড়াও বয়ান করবেন স্থানীয় তাবলিগ জামাতের মুরব্বিরা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে টঙ্গীতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমায় দেশের ১৬ জেলা অংশ নিতে পারবে না। এর মধ্যে দিনাজপুর রয়েছে। তাই বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে না পারায় জেলা পর্যায়ে এই আঞ্চলিক ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।