আমি একজন নারী হয়েও ১০ শতাংশ নারী কোটার বিরুদ্ধেঃ বাকৃবি শিক্ষার্থী

:
: ২ দিন আগে

‘কোটা বাতিলের দাবিতে আজ আমরা রেলপথ অবরোধ করেছি। আগামীকালের রায়ের অপেক্ষায় আছি। আশা করি রায় আমাদের পক্ষে যাবে। অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমি নিজে একজন নারী হয়েও ১০ শতাংশ নারী কোটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।’

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইন অবরোধকালীন এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ভেটেরিনারি অনুষদের মাস্টার্সে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী মাশারাত মালিহা।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বাকৃবির জব্বারের মোড় সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ করেন। এসময় মোহনগঞ্জগামী মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় এক ঘণ্টা থেমে থাকে। এতে ট্রেনটির শতশত যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তন সংলগ্ন মুক্তমঞ্চের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রতিবন্ধী এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠী বাদে সবধরনের কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানান।

শিক্ষার্থী মাশারাত মালিহা বলেন, ‘আমরা কোটা চাই না। এই কোটা বৈষম্য রোধ করার জন্যই আমরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। ২০২৪ সালে সেই কোটা আবার ফিরে আসুক তা আমরা কখনোই চাই না।’

দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।

পরে পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন পরিপত্রটি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর থেকেই ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।