আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রথম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

:
: ২ years ago

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে প্রথম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইসরায়েল। কোনো আরব রাষ্ট্রের সঙ্গে এটাই ইসরায়েলের বড় ধরনের বাণিজ্যিক চুক্তি। দুদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যেই তারা এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

মঙ্গলবার (৩১ মে) ইসরায়েলের অর্থনীতি ও শিল্প বিষয়ক মন্ত্রী ওরনা বার্বিভাই এবং আরব আমিরাতের অর্থমন্ত্রী আবদুল্লা বিন তাউক আল মারি দুবাইয়ে ওই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির বিষয়ে দুদেশের মধ্যে কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছিল।

এক টুইট বার্তায় আমিরাতে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত আমির হায়েক ওই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আমিরাত-ইসরায়েল বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট দোরিয়ান বারাক জানিয়েছেন, ওই বাণিজ্য চুক্তিতে করের হার, আমদানি এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের বিষয়টি পরিষ্কার থাকবে। এর ফলে আমিরাতে বিশেষ করে দুবাইয়ে আরও বেশি ইসরায়েলি কোম্পানি তাদের অফিস স্থাপণে উৎসাহিত হবে।

দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবসা করছে এমন ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর মধ্যে অনেকেই চলতি বছরের শেষের দিকে আমিরাতে কাজ শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ওই কাউন্সিল।

ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে খাদ্য, কৃষি, প্রসাধনী, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ওষুধসহ ৯৬ শতাংশ পণ্যের ওপর শুল্ক বাতিল করা হবে।

এদিকে আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী থানি আল-জেওউদি এক টুইট বার্তায় বলেন, দুদেশের এই বাণিজ্য চুক্তির ফলে প্রবৃদ্ধি বাড়বে, কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং এই অঞ্চলে শান্তি, স্থায়িত্ব ও সম্পদের নতুন যুগের নেতৃত্ব দেবে।

পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিত তীরে চলমান সহিংসতার মধ্যেই দুদেশ এই চুক্তি সাক্ষর করলো। গত সোমবার আল-আকসা মসজিদে দখলদারদের প্রবেশের নিন্দা জানিয়েছেন আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তারা শুধু নিন্দা জানিয়েই ক্ষান্ত। আরব বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে এগিয়ে আসার পরিবর্তে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপণ ও বাণিজ্য চুক্তি করে যাচ্ছে।

ফলে ইসরায়েলি দখলদারদের হাত থেকে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে। ২০২০ সালের যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি করে আমিরাত ও ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের তীব্র সমালোচনার পরেও ওই একই বছর মরক্কো এবং বাহরাইনও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়।