আমার স্বামী-সন্তান আছে, তবুও বিয়ের প্রস্তাব দেয় পাভেল

:
: ৬ years ago

মোবাইলে সম্পর্কের সূত্র ধরে এক গৃহবধূকে হোটেলে নিয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে বাসায় ডেকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা করলেও ধর্ষককে গ্রেফতার করছে না পুলিশ- এমন অভিযোগ ওই গৃহবধূর।

ধর্ষণ মামলার ২২ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার না করার অভিযোগে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তার পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধূ অভিযোগ করেন, স্বামীর অবর্তমানে ফরিদপুর পৌরসভায় কর্মরত পাভেল শেখের (২৮) সঙ্গে মোবাইলে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক বছর আগে সিনেমা দেখানোর নাম করে গৃহবধূকে শহরের একটি হোটেলে নিয়ে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে পাভেল। ওই ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় পাভেল। গত ১ জুলাই গৃহবধূ ঢাকায় তার স্বামীর কাছে গেলে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই দিনের মধ্যে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়।

নির্যাতিত গৃহবধূ বলেন, গত ৬ জুলাই ফরিদপুরে ফিরে আসলে ওই দিন রাতে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় পাভেল। পরে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে তার বাড়িতে আটকে রেখে আমাকে ধর্ষণ করে পাভেল। ওই বাড়িতে পাভেলের আরেক সহযোগী আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পাভেল ও তার দুই সহযোগীকে আসামি করে গত ৯ জুলাই ধর্ষণের মামলা করি।

লিখিত অভিযোগে গৃহবধূ বলেন, মামলা করে বাড়ি ফেরার পথে আমার মা-বাবা এবং আমাকে মারপিট করে পাভেল ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনার পর গত ১১ জুলাই আমাকে তালাকের নোটিশ দেয় স্বামী। আমার ১০ বছরের এক ছেলে রয়েছে। স্বামী-সন্তান থাকার পরও পাভেল আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু এখন সে উধাও।

সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধূর বাবা অভিযোগ করেন, মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। পাশাপাশি মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে পাভেল ও তার সহযোগীরা।

মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে পাভেলের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে পাভেলের বাবা বলেন, ওই রাতে (৬ জুলাই) আমি ও আমার স্ত্রী বাড়িতে ছিলাম না। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই গৃহবধূ কেন আমার বাড়িতে এসেছিল তা বোধগম্য নয়।

এ বিষয়ে গৃহবধূর স্বামী বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন তরুণের সম্পর্ক থাকার কারণে গত ১১ জুলাই তালাকের নোটিশ দিয়েছি। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।

এ মামলা তদন্ত করছেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত পাভেল বর্তমানে পৌরসভা থেকে ছুটি নিয়ে আত্মগোপন করেছে। এ জন্য তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। পাভেল ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে এবং পুলিশ তাদের ধরছে না এমন অভিযোগ সঠিক নয়।