নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজের কো-পাইলট পৃথুলা রশীদ জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে গেছেন। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন অনেকের জীবন বাঁচিয়ে। তার মৃত্যু নিয়ে মা রাফেজা বেগম শোকে মূহ্যমান নন, বরং গর্বিত।
গত সোমবারের বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়েছে। শুধু হাতহতের স্বজন নয়, তাদের মৃত্যুতে শোকার্ত পুরো জাতি। বৃহস্পতিবার সারাদেশে শোক পালন করা হয়।
রাফেজা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে স্যালুট দিই। অন্যের জীবন বাঁচাতে আমার মেয়ে জীবন দিয়েছে। তার মা হিসেবে আমি গর্বিত।
বৃহস্পতিবার পৃথুলা রশীদের মিরপুরের বাসায় যান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি পৃথুলার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ব্যাপারে খোঁজ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যারা এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের পাশে রয়েছে সরকার।
দ্রুত মেয়ের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে পৃথুলার বাবা আনিসুর রশীদ মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
রাফেজা বেগম আরও বলেন, কিছুই চান না, শুধু শেষবারের মতো মেয়ের মুখ দেখতে চান।
ওবায়দুল কাদের তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, দ্রুত পৃথুলার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও স্থানীয় এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা।