নিজের নামে কোনো টাকা আমানত নেই কুমিল্লা-১১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সরকারের রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হকের। তবে স্ত্রীর নামে স্থায়ী আমানত হিসেবে রয়েছে ২০ লাখ ৭৪ হাজার ৫৮৮ টাকা।
এ ছাড়াও নিজ নামে না থাকলেও স্ত্রীর নামে ৬৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকার শেয়ারসহ ইন্সুরেন্স রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হলফনামা থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, নিজ নামে না থাকলেও স্ত্রীর নামে ব্যবসায় মূলধন হিসেবে ৭৪ লাখ ৫৪ হাজার ১২৩ টাকা রয়েছে।
হলফনামা থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালে মুজিবুল হকের কৃষিখাত থেকে বছরে ১০ হাজার টাকা, আয়কর আইনজীবী হিসেবে বছরে ৩ লাখ টাকা আয় করতেন। ২০১৩ সালে কৃষিখাত থেকে বছরে ১৫ হাজার ৮৪০ টাকা আয় করলেও পেশা থেকে কোনো আয় ছিল না। এবার কৃষিখাত থেকে ১৫ হাজার ৭৩০ টাকা আয় করছেন। সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হিসেবে পরিতোষক ছাড়া ২০১৩ সাল থেকে কোনো আয় নেই মুজিবুল হকের।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে ৭ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি ছিল নিজ নামে, ৪৮ হাজার টাকা মূল্যের ৮ তোলা স্বর্ণ, ৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ২ হাজার ৫০০ টাকার আসবাবপত্র। ২০১৩ সালে গাড়ির মূল্য দেখানো হয়েছে ৭৭ লাখ ১ হাজার ১৯৫ টাকা, ৬ হাজার টাকা মূল্যের ৪ তোলা স্বর্ণ, ৬৯ হাজার টাকা মূল্যের আসবারপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী ছিল। বর্তমানে দুটি গাড়ি, যার একটির মূল্য ৭৭ লাখ ১ হাজার ১৯৫ টাকা ও অপরটির মূল্য ৭২ লাখ ৩২ হাজার ৭৫৩ টাকা। আসবাবপত্র নিজ নামে ৬৯ হাজার ও স্ত্রীর নামে ২০ হাজার টাকার।
২০০৮ সালে ৮ হাজার ৯৬৬ টাকা নগদ ও ব্যাংকে ২৫ হাজার ৫৬ টাকা জমা ছিল। ২০১৩ সালে ২২ হাজার ৩১৬ ও ব্যাংকে ৭১ হাজার ৬৩৩ টাকা জমা ছিল। বর্তমানে নিজ নামে ২ হাজার ৩২ টাকা, স্ত্রীর নামে ২ হাজার ২৫৮ টাকা নগদ, নিজ নামে ২৭ হাজার ৮১৭ টাকা ও স্ত্রীর নামে ৫৯ হাজার ৬০৬ টাকা ব্যাংকে জমা রয়েছে।
হলফনামা থেকে জানা যায়, স্থাবর সম্পদ আগের হিসাব থেকে ২০১৩ সালে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের রাজউকে ১০ কাঠার একটি প্লট যুক্ত হয়েছিল, যা এবারের হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি। ২০০৮ সালে দায় না থাকলেও ২০১৩ সালে আত্মীয় স্বজনদের কাছে জামানত বিহীন ৭৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, বিবিধ পাওনাদার ৬ লাখ ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬ টাকা ছিল। বর্তমানে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে দেনা ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৯৩৫ টাকা ও আত্মীয়দের কাছে জামানত বিহীন ঋণ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।