ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানির এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না ইরান। ইতিমধ্যে দেশটির লাখো মানুষ এর প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। এদিকে ইরাকে তার জানাজায় লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন যারা আমেরিকার মৃত্যু চেয়ে স্লোগান দিয়েছেন। তাদের ভাষ্য, যুদ্ধের জন্য আমরা প্রস্তুত।
জানাজায় অংশ নেয়া অনেক ইরাকি বলেছেন, আমেরিকা ইরাকের সার্বভৌমত্বকে ও আমাদের যোদ্ধাদের আঘাত করেছে।
আলি নামের একজন বলেছেন, আমরা ইরাকি সরকার ও পপুলার মোবিলাইজেন ফোর্স বা হাশাদ আশ-শাবি বাহিনীকে আমেরিকার এমন হামলার জবাব নিতে বলছি। এছাড়া আমেরিকার এমন হামলা অনেক বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক ভাবে যদি এই হামলার জবাব দেয়া না যায় তাহলে সামরিকভাবে এর জবাব দেয়া হোক।
এদিকে সবচেয়ে ক্ষমতাধর জেনারেল এবং বিপ্লবী গার্ড বাহিনী কুদসের প্রধান কাসেম সোলেইমানি মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হওয়ার পর ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা কাউন্সিল বলেছে, ‘সঠিক সময়ে এবং সঠিক জায়গায়’ এ হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
দেশটির নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এমন দুঃসাহসিক সন্ত্রাসীমূলক কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী থাকতে হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল কৌশলগত ভুল, এবং যুক্তরাষ্ট্র সহজেই এর পরিণতি থেকে পাড় পাবে না।
গত শুক্রবার ইরাকের বাগদাদের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের বিপ্লবী এলিট কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ও ইরান সমর্থিত পপুলরার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপ-প্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। আল জাজিরা, বিবিসি, সিএনএন।