ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮২ হাজার, যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের বাজার মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসার অনুকূল থাকায় প্রতি বছর ৩ কোটি হ্যান্ডসেট আমদানি করতে হচ্ছে।
এতে ৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোনসেট সংযোজন ও উৎপাদনের জন্য যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করে গত ১ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ফলে শিগগিরই আমদানির পরিবর্তে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সংসদের ১৮তম অধিবেশনে মঙ্গলবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বজলুল হক হারুনের (ঝালকাঠি-১) প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও জানান, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এসকেডি পদ্ধতিতে স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট সংযোজন ও উৎপাদনের জন্য যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ এবং সিকেডি পদ্ধতিতে মোবাইল ফোন আমদানির ক্ষেত্রে ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে ওয়ালটন স্থানীয়ভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট সংযোজন, উৎপাদন, বাজারজাতকরণের অনুমতির জন্য আবেদন করেছে। আবেদনে তারা জানিয়েছে, বছরে ৫০ লাখ মোবাইল হ্যান্ডসেট স্থানীয়ভাবে সংযোজন ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
এছাড়া ‘সিম্ফনি’ ও ‘ওকাপিয়া’ ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও স্থানীয়ভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট সংযোজন, উৎপাদন, বাজারজাতকরণের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে।