#

আমতলী প্রতিনিধি ॥ বরগুনার আমতলীতে চাঁদা না পেয়ে পৌর মেয়র ও আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে যুবলীগ নেতা ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদকে কুপিয়ে হাত ও পায়ের রগ কর্তন মামলার আসামী আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১২ নেতা কর্মীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে আমতলীর ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: নাহিদ হাসান এ আদেশ দিয়েছেন।

আসামীরা হল, পৌর আওয়ামীলীগের সম্পাদক ও কাউন্সিলর জিএম মুছা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান , যুবলীগের সভাপতি জিএম ওসমানী হাসান,আল ফাহাদ,আবদুল মতিন, তানজিল,রিয়াজ,রুবেল, আশিকুর রহমান আসলাম, মিরাজ মিয়া, কবির ও সবুজ। এরা সকলই আমতলী পৌরসভার বাসিন্দা। এ মামলায় মালেক ও মো. হাসান পলাতক। রায়হান জামিনে ছিল।

জানা যায়, আমতলী পৌরসভার আনোয়ার হোসেনের ছেলে ঠিকাদার ও যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ১২ জুন আমতলী থানায় জিএম মুছাসহ ১৫ জনকে আসামী করে অভিযোগ দেয়। এ বছরের ২১ মে রাত অনুমান ৮ টার সময় বাদী আবুল কালাম আজাদ আমতলীর খুরিয়ার খেয়াঘাট হতে নোমরহাট পাকা রাস্তার উপর পৌছলে সকল আসামীরা বাদীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। আজাদ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মামলার আসামীরা রামদা ছেনা দিয়ে আবুল কালাম আজাদের দুই পা দুই হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এবং হাত পায়ের রগ কেটে দেয়।

মামলার বাদী আবুল কালাম আজাদের মামা আমতলী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক মো. মতিয়ার রহমান বলেন, আমার ভাগিনাকে আসামীরা ২১ মে রাতে চাঁদার দাবীতে হত্যা করতে চেয়েছিল। আল্লাহ আজাদকে বাঁচিয়েছেন। আমার ভাগিনা চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছে। হাত পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। আসামীরা আগাম জামিনের জন্য হাই কোর্টে গিয়ে ৪ সপ্তাহের জামিন নিয়েছিল। সুপ্রীম কোর্টের চেম্বার জজ হাই কোর্টের আগাম ৪ সপ্তাহের জামিন বাতিল করে ১ সপ্তাহের মধ্যে আমতলীর আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেয়। কিন্ত আসামীরা চেম্বার জজের রায় গোপন করে বরগুনার জেলা দায়রা জজ আদালতে প্রতারনা করে হাইকোর্টের ১ মাসের রায়ের কপি দাখিল করে জামিন আবেদন করে। আদালত তাদের প্রতারনা জানতে পেরে তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে নি¤œ আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন।

জজ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বৃহস্পতিরবার সকালে ১২ নেতা কর্মী আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়া ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাহিদ হাসানের কোর্টে হাজির হলে উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানী শেষে বিঞ্জ বিচারক ১২ নেতা কর্মীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের বারান্দায় আসামীরা বলেন আমরা নির্দোষ। অন্যায় ভাবে আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন