প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার ছিলেন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান ও অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২-এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬-এর ছয় দফা, ১৯৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭০-এর নির্বাচন, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গেও তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন।

রোববার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল জব্বারের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বাণীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আব্দুল জব্বারের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের ১৮ সদস্যসহ খুন হওয়ার পর আব্দুল জব্বার ১৭ আগস্ট কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার হতে হয় এবং বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি মেজর নূর রাতভর অমানুষিক নির্যাতন করে ভোর রাতে হত্যার জন্য ব্রাশফায়ার করতে গেলে তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা আমিন আহমেদ চৌধুরী তাকে উদ্ধার করেন এবং তিনি প্রাণে বেঁচে যান। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আবার তিনি রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করলে ফের গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ ও নির্যাতনের শিকার হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশে পদকে ভূষিত আব্দুল জব্বার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে প্রতিবাদে সোচ্চার থেকেছেন সব সময়। মাটি ও মানুষের সঙ্গে ছিল তার নিবিড় সম্পর্ক। মরহুম আব্দুল জব্বারের ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, সততা ও দেশপ্রেম সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। তার সততা ও জীবনাদর্শ তরুণ রাজনীতিকদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। আমি মহান আল্লাহর দরবারে মরহুম আব্দুল জব্বারের পবিত্র রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।