আবারও সিআইপি হলেন আহসান খান চৌধুরী

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং আরএফএল প্লাস্টিকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান খান চৌধুরীকে ‘বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি হিসেবে (সিআইপি-রফতানি) কার্ড প্রদান করেছে সরকার।

রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিআইপি-২০১৪ এর কার্ড প্রদান করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিআইপি (রফতানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুযায়ী, ২০১৪ সালের জন্য ১৬৪ জন ব্যবসায়ীকে সিআইপি কার্ড প্রদান করে।

তাদের মধ্যে একজন হলেন- আহসান খান চৌধুরী। তাকে প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে তাকে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৫ সালের জন্য ‘বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি হিসেবে (সিআইপি-শিল্প) মনোনীত করে শিল্প মন্ত্রণালয়।

সিআইপি নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত সিআইপিরা এক বছর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক বছরের জন্য একটি পরিচয়পত্র পাবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য গাড়ির স্টিকার পাবেন।

এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। সিআইপি কার্ডধারীরা ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলযানে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। সিআইপির ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে বিদেশে ভ্রমণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসাপ্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ করে ‘লেটার অব ইন্ট্রুডাকশন’ ইস্যু করবেন।

সিআইপিরা বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। সিআইপি ব্যক্তি ও তাদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

আহসান খান চৌধুরী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর ছেলে। ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পড়াশোনা শেষ করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে যোগদান করেন। ৪৬ বছর বয়সী আহসান খান ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক।

উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ যাত্রা শুরু করে। তখন থেকেই গ্রুপের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরী। ২০১৫ সালের ৮ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।