‘আবরার হত্যা মামলার রায়ে প্রমাণ হয়, দেশে আইনের শাসন আছে’

:
: ৩ years ago

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়ে ন্যায়বিচার করা হয়েছে জানিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আবরার হত্যা মামলা রায়ে এটা প্রমাণ হয় যে, দেশে আইনের শাসন আছে।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের বাসভবনে বুয়েটছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে যে, এ মামলায় প্রকৃত ও ন্যায়বিচার করা হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পেরেছে যে, দেশে আইনের শাসন আছে। এখন কেউ এরকম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বা কোনোরকম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কোনো অপরাধী ঘুরে বেড়াতে পারবে না। তারা রাজনীতি করতে পারবে না। বিরোধীদলীয় নেতা হওয়ার অডাসিটি (সাহস) দেখাতে পারবে না।

তিনি বলেন, এই রায়ের নথিপত্র আগামী সাতদিনের মধ্যে হাইকোর্টে চলে যাবে। সেখানে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার ব্যাপারে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু হত্যাকাণ্ড আছে যা সমাজকে নাড়া দেয়, সমাজের বিবেককে নাড়া দেয়। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা না হলে সমাজে হতাশা দেখা দেয়। সরকারের দায়িত্ব এই মামলাগুলো ত্বরিত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে সমাজকে আশ্বস্ত করা যে, দেশে আইনের শাসন বিরাজ করছে। এই দায়িত্ব পালনে শেখ হাসিনার সরকার এখন পর্যন্ত সক্ষম হয়েছে।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরার ফাহাদকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তিনি বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে। পরে রাত ৩টার দিকে ওই হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।