আফিফ-তৌহিদের ঝড়ো ফিফটি, রানপাহাড়ে বরিশাল

:
: ৪ years ago

জিতলেই সেরা চারে, হারলেও সুযোগ থাকবে; তবে সেটি হতে হবে অল্প ব্যবধানের হার। বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে লিগপর্বের শেষ ম্যাচে খেলতে নামার আগে এমনই ছিল ফরচুন বরিশালের সামনে সমীকরণ। এ সমীকরণ মাথায় রেখে খেলতে নেমে ম্যাচ জয়ের পথে নিজেদের কাজ অনেকটাই সহজ করে রেখেছে বরিশাল। আগে ব্যাট করে ঢাকার সামনে দাঁড় করিয়েছে ১৯৩ রানের বিশাল সংগ্রহ। ম্যাচ জিততে হলে মুশফিকদের করতে হবে ১৯৪ রান।

বরিশালের মতো প্লে-অফের টিকিট নিয়ে সংশয় নেই ঢাকার। টানা চার ম্যাচ জিতে তারা আগেই নিশ্চিত করেছে প্লে-অফে তাদের স্থান। তবে টেবিলের দুই নম্বরে থেকে প্লে-অফ পর্বে দুটি সুযোগ পাওয়ার জন্য এ ম্যাচটি জিততেই হবে ঢাকার। তাই টানা পঞ্চম জয়ের জন্য মরিয়া তারাও। তবে ১৯৪ রানের লক্ষ্য টপকে ম্যাচ জেতা বেশ কঠিনই হতে যাচ্ছে ঢাকার জন্য।

দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন বরিশালের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান। তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লে’তেই ৫০ রান পেয়ে যায় বরিশাল। যেখানে সিংহভাগ অবদান ছিল সাইফের।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। দলীয় ৫৯ রানের মাথায় আলআমিন জুনিয়রের বলে লংঅফে সাব্বির রহমানের হাতে ধরা পড়েন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার ব্যাট থেকে আসে ২ চারের মারে ১৭ বলে ১৯ রান। তিন নম্বরে নেমে আজ ব্যর্থ হন টুর্নামেন্টের রেকর্ড সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমন। দলীয় ৮২ রানের সময় মুক্তার আলির বলে আউট হওয়ার আগে করেন ১৩ বলে ১৩ রান।

অপরপ্রান্তে জোড়া উইকেট পড়লেও রয়েসয়ে খেলে ফিফটি তুলে নেন সাইফ হাসান। তবে পঞ্চাশের পর বেশিদূর এগুতে পারেননি সাইফ। রুবেল হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে থামে সাইফের ৮ চারের মারে খেলা ৪৩ বলে ৫০ রানের ইনিংস। এরপর ঢাকার বোলারদের ওপর রীতিমতো স্টিম রোলার চালান দুই তরুণ ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। দুজনের অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাত্র ৩৮ বলে আসে ৯১ রান।

এতে অবশ্য বড় অবদান ছিল ঢাকার ফিল্ডারদেরও। ব্যক্তিগত ১১ রানে শফিকুল ইসলাম ও ১২ রানে রবিউল ইসলাম রবির হাতে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান আফিফ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি আফিফ। একের পর এক ছয়ের মারে মাত্র ২৫ বলে পূরণ করেন নিজের ফিফটি। শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১ চার ও ৫ ছয়ের মারে ৫০ রান করে।

আফিফের চেয়েও বেশি বিধ্বংসী ছিলেন তৌহিদ হৃদয়। ঢাকার বোলারদের কচুকাটা করে খেলেছেন দৃষ্টিনন্দন সব শট। তিনি ফিফটি করেন মাত্র ২২ বলে। ইনিংসের শেষ বলে বুদ্ধিদীপ্ত স্কুপ শটে পূরণ হয় তৌহিদের ফিফটি। তিনি অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ের ৫১ রান করে।

নিজের ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় ১ উইকেট নেন রুবেল। এছাড়া ঢাকার বোলারদের মধ্যে খরুচে ছিলেন প্রায় সবাই। রবিউল রবি ৪ ওভারে দেন ৪০, শফিকুলের ৪ ওভারে আসে ৫১ রান, মুক্তার আলি ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৮ রান।