আপাতত বাংলাদেশে অফিস চালুর পরিকল্পনা নেই গুগলের

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বাংলাদেশে গুগলের স্থানীয় পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে প্রাইস ওয়াটার কুপারস (পিডব্লিউসি)। তারা জানিয়েছে, গুগল বাংলাদেশে অফিস খুলছে এই ব্যাপারে তারা অবগত নন

বাংলাদেশে কান্ট্রি অফিস খোলার ব্যাপারে এখনও কোনো পরিকল্পনা গুগলের নেই। তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন তানভীর রহমান নামে এক ব্যক্তি। একটি অনলাইন পত্রিকার সংবাদে তাকে গুগলের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

তিনি মূলত গুগলের ক্লাউড এবং এআই ইউনিটগুলির মধ্যে একটির নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। কান্ট্রি অফিস নয়।

ভাইরাল হওয়া বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্স-কোডার তানভীর রহমান এর আগে প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল, মাইক্রোসফট এবং গুগলের জন্য কাজ করেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, “আশা করছি গুগলের সিইও সুন্দার পিচাই শিগগিরই আমার নতুন বস হবেন। সম্ভবত শিগগিরই এই ব্যাপারে ঘোষণা আসবে।”

গুগলের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা একটা ভুল বুঝাবুঝি। আমি যে প্রেক্ষাপটে কথাগুলো বলেছিলাম তার বাইরে নেওয়া হয়েছে।”

এদিকে  এই ব্যাপারে গুগলের সাথে যোগাযোগ করলে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো জবাব পায়নি।

বাংলাদেশে গুগলের স্থানীয় পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে প্রাইস ওয়াটার কুপারস (পিডব্লিউসি)। তারা জানিয়েছে, গুগল বাংলাদেশে অফিস খুলছে এই ব্যাপারে তারা অবগত নন।

গুগলের একাউন্ট স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে কাজ করছেন ফুয়াদ হাসান সাকিব। তিনিও এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে  জানান।

 

অ্যামাজনে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট হিসেবে কাজ করছেন মীর ওয়াসি আহমেদ। তিনি জানান, এ বিষয়ে তার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “গুগলের পরিচালক হিসেবে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন এই ভদ্রলোক। আর তা বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “গ্রেট নিউজ! আমি ভেবেছিলাম তার ক্যারিয়ার খুব সমৃদ্ধ হবে, কিন্তু তার বর্তমান কর্মস্থল কোথায় সেটা সংবাদে প্রকাশ করা হয়নি। গুগলের মতো একটি সংস্থা সাধারণত অন্য জায়গায় একই পদে চাকরি করার অভিজ্ঞতা আছে এমন লোকদের নিয়োগ দেয়।”

এছাড়াও ৩২ বছর বয়সে গুগলের পরিচালক হওয়াও বেশ নজিরবিহীন। মীর ওয়াসি আহমেদ আরও বলেন, “আমি অনেক কষ্টে লিংকডইনে তানভীর রহমানে প্রোফাইল খুঁজে পেয়েছি।” কিন্তু প্রোফাইলটি পরবর্তীতে ডিএক্টিভেট করে দেওয়া হয়।

তানভীর রহমান বলেন, “আমি মাইক্রোসফটের সাথে পাঁচ বছর কাজ করেছি। কিন্তু আমার কোনো ডিগ্রি না থাকায় সমাজে আমি তেমন সুপরিচিত নই।” ”

এর আগে বাংলাদেশে কান্ট্রি কনসালট্যান্ট হিসেবে গুগল কাজী মনিরুল কবিরকে নিয়োগ দেয়। সে সময় গুগল বাংলাদেশে অফিস খুলবে বলে শোনা গেলেও পরে আর হয়নি। সিঙ্গাপুরের গুগল অফিস থেকে বাংলাদেশে গুগলের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন তিনি।

একই সময়ে গুগলে কান্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন আরেক বাংলাদেশি কাজী আনোয়ারুস সালাম।

২০১৯ সালে গুগলে প্রথম বাংলাদেশি প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার হয়েছিলেন জাহেদ সবুর। সেখানে তিনি একজন পরিচালক হিসেবেও কাজ করতেন।