আপনার ভোট মূল্যবান, কেন্দ্রে আসুন: প্রধানমন্ত্রী

:
: ৬ মাস আগে

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট আয়োজন করতে পেরে জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের মূল্যবান ভোট প্রয়োগ করতে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

 

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে সিটি কলেজে সাধারণ ভোটার হিসেবে নিজের ভোট প্রয়োগ করার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে শেখ রেহানা ও তার কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটটা যে সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি, এজন্য আমি আমার দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ অনেক বাধা ছিলো, বিপত্তি ছিলো; কিন্তু দেশের মানুষ তারা কিন্তু তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন রয়েছে এবং নির্বাচনটা একান্তভাবে জরুরি। কারণ পাঁচ বছর পর নতুন সরকার আসবে। জনগণ তার ইচ্ছামতো ভোট দেবে। আর সেই ভোট দেওয়ার পরিবেশটা আমরা তৈরি করতে পেরেছি।’

 

‘যদিও এখানে বিএনপি জামায়াত জোট জ্বালাও-পোড়াও করেছে, অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল এবং এর আগেও অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। ট্রেনে আগুন, গাড়িতে আগুন, মানুষকে বাধা দেওয়া, বোমা-ককটেল মারা এসব জঘন্য কাজ করছে। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাদের দেশপ্রেম নেই। দেশের মানুষের কল্যাণ চায় না। তারা গণতান্ত্রিক ধারা চায় না।’

দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের এই উন্নয়নটা হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের সামনে আরও কাজ আছে। সেটি সম্পন্ন করতে চাই।’

 

‘আমি আশা করি নৌকা মার্কা জয়লাভ হবে এবং আবার আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে আমরা আমাদের যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, সেটি বাস্তবায়ন করতে পারবো। জনগণের ওপর আমার বিশ্বাস আছে।’

এ সময় ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে সকলে সুষ্ঠুভাবে ভোটকেন্দ্রে আসবেন। আপনার ভোটটা অত্যন্ত মূল্যবান। এই ভোটের অধিকারের জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি, জেল-জুলুম, অত্যাচার, বোমা-গ্রেনেড অনেক কিছু আমাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার মানুষের হাতে তুলে দিতে পেরেছি, আজকে জনগণ অধিকার পেয়েছে সেটি তারা সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পারবে এবং নির্বাচনটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। অর্থাৎ আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো। নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে হোক এটাই আমি চাই।’

এ সময় গণমাধ্যমকে আন্তরিক ধনবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারা কখনো নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাই হয়েছে একটি মিলিটারি ডিক্টেটরের হাত দিয়ে সংবিধান ও সেনা আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার পর। এরা ভোট কারচুপি, ভোট কেড়ে নেওয়া, এটাই তাদের চরিত্র। এই সুযোগটা তারা পাচ্ছে না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিলো ৩০টি আসন। আর আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩ আসন পেয়েছিলো। এরপর থেকে বিএনপি নির্বাচনের বিরুদ্ধে। কারণ ওদের জন্মলগ্ন থেকেই ভোট চুরি করা, ভোট কারচুপি করা, সিল মারা, হ্যাঁ-না ভোট, ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা…সেটা করতে পারবে না জেনেই তারা নির্বাচনে আসে না।

‘তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে। মানুষ হত্যা করে, মানুষ পুড়িয়ে, ট্রেনে-বাসে আগুন দিয়ে, ভোটকেন্দ্রে পুড়িয়ে তারা মনে করে এটাই তাদের রাজনীতি। এটা করতে গিয়ে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।’

 

তিনি বলেন, আজকে ভোটের পরিবেশ সুন্দরভাবে হয়েছে। আশা করি, দেশের মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসবে। আপনার অধিকার আপনি প্রতিষ্ঠিত করবেন। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত রাখবেন, যা বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামজিক উন্নয়ন এনে দেবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রমাণ করতে হবে। বিএনপির মতো একটা সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছে? আমি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। জনগণ নির্বাচনটাকে গ্রহণ করলো কি না, সেটি গুরুত্বপূর্ণ।