প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি সোমবার বিকালে রাজধানীতে বিশাল শোভাযাত্রা করেছে। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটিতে নেতা-কর্মীদের ঢল নামে। তবে শোভাযাত্রা মালিবাগে শেষ হলেও শেষপ্রান্ত ছিল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই।
শোভাযাত্রা শুরুর আগে ট্রাকের ওপর স্থাপিত মঞ্চে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রেখে ও হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা-নির্যাতনের মাধ্যমে তারা গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের আন্দোলন বন্ধ করতে চেয়েছে। আমরা যদি গণতন্ত্রের মুক্তি চাই, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই তবে আমাদেরকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটানো হবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অবশ্যই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করবো। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা জয়ী হবো। তিনি বলেন, সরকার ভাবছে খালেদা জিয়াকে আটকে রেখে দলের প্রায় ২৬ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে, হাজারো নেতাকর্মীকে গুম, খুন ও নির্যাতন করে গণতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলনকে দমন করতে পারবে। কিন্তু আজকের র্যালিতে লাখো নেতাকর্মীদের উপস্থিতি প্রমাণ করে সরকার এই আন্দোলন দমন করতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ আবার দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায় অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কিন্তু আমরা কি বাকশাল মেনে নেবো? কোনও দিনও তা হতে দেবো না। সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। কিছু দিন আগে পত্রিকায় এসেছে, দেশ থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা পাচার করে দিয়েছে তারা।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকার আজ অন্যভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে আটক করে রেখেছে। সরকার দেশনেত্রীকে জেলে রেখে অঘোষিত বাকশাল কায়েম করেছে। সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে আটক রেখে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রেখে একাদশ সংসদ নির্বাচন করতে চেয়েছে। কিন্তু আমরা যখন আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি তখন সরকার ২৯ তারিখ রাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করে ফেলেছে। জনগণ এ নির্বাচনে ভোট দেয়নি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে গণতন্ত্র মুক্তি হবে না তাই আসুন আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করি এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনি।